জিম্মিদশা থেকে মুক্ত শ্যামল ও প্রসূন ঢাকার পথে
ছোট পর্দার নির্মাতা আজাদ কালামের ‘মেঘ মায়া’ নাটকের শুটিং করতে গিয়ে নেত্রকোনায় জিম্মি হতে হলো অভিনয়শিল্পী শ্যামল মাওলা ও প্রসূন আজাদসহ পুরো শুটিং ইউনিটকে। ডিরেক্টর্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এসএ হক অলিক জানান, শ্যামল ও প্রসূন সকালে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বাকিরা এখনো ওখানে অবস্থান করছেন। তবে সন্ধ্যার মধ্যে বিষয়টি সুরাহা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অলিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি গত রাতে জেনেছি। তার পর থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয় থানায় কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেছি। সকাল বেলায় শ্যামল ও প্রসূন ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে তাঁরা ঢাকায় চলে আসবেন। আর বাকি ইউনিটও আশা করি খুব তাড়াতাড়ি লোকেশন থেকে ফিরতে পারবে।’
অলিক আরো বলেন, ‘আমাদের সবারই পরিবার আছে, সেখানে আমরা ভাইবোন সবাই মিলে একসাথে বাস করি। দেখা যায় পরিবারের সবাই এক রকম নয়, সেখানে দুয়েকজন দুষ্টু হতেই পারে। আমরা বিষয়টি ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে দেখব। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না। তা ছাড়া লোকেশন থেকে ডিরেক্টর পালিয়েছেন, এটা ঠিক নয়। উনি বোধ হয় ঘটনাটি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সে জন্য প্রসূন ও শ্যামলদের সাথে তার দেখা হয়নি। পরে অবশ্য তাদের দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে।’
গত ২৫ মে শুক্রবার ‘মেঘ মায়া’ নাটকের শুটিং করতে যান নেত্রকোনার বিরিশিরিতে। সেখানে শ্যামল মাওলা ও প্রসূন আজাদসহ বেশকিছু অভিনয় শিল্পী অভিনয়ে অংশ নেন। তিন দিন শুটিং করার পর গতকাল রোববার দিবাগত রাতে তাদের ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাতা হোটেল ভাড়া, গাড়িভাড়া, শিল্পীদের পাওনা না দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে গত রাতে অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘রাগে কান্না আসতেছে, ৩ দিন ধরে শুটিং, হোটেল ট্রান্সপোর্ট শিল্পী কোনো কিছুর পেমেন্ট করা হয় নাই। পরিচালককে কেউ পাচ্ছে না। প্রযোজক নাকি টাকা পাঠায় নাই। এখন এই রাত ১টা পর্যন্ত ড্রাইভারদের যে সমিতি ওরা ইউনিটের গাড়ি একটা রেখেছে। খুব হেলপলেস অবস্থা, আমার শরীর ভালো না। ইমার্জেন্সি এমবুলেন্স ও গুগল করে পাচ্ছি না। আব্বু কল রিসিভ করল না। আমি আসলে জানি না কী হচ্ছে। সিকিউরিটি নাই কোনো।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শ্যামল মাওলা বলেন, ‘আমরা ঢাকায় ফিরছি। আমরা খুব বিপদে ছিলাম। এখন কিছু বলতে পারব না। ঢাকায় ফিরে সব খুলে বলব।’