কান চলচ্চিত্র উৎসব
প্রশংসিত নন্দিতার ‘মান্টো’
বৃষ্টি ছিল, তবে সেটা চলে গিয়ে কানের আকাশ ঝকঝকে নীল। মেঘের আনাগোনা আছে, তবে রোদ হাসছে আকাশে। এরই মাঝে ৭১তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সখতাঁ খোগার্দ বিভাগে দেখানো হয়েছে নন্দিতা দাসের চলচ্চিত্র ‘মান্টো’। ভারতীয় এই ছবিটি দেখানো হয় স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায়। প্রদর্শনের পর দর্শকের প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি।
অবশ্য উৎসবের ষষ্ঠ দিনে টিজার প্রকাশ করেই বেশ সাড়া জাগিয়েছিল ‘মান্টো’। তাই পরের দিন ছবিটি দেখতে প্রায় এক ঘণ্টা আগে লম্বা লাইনে দাঁড়ায় দর্শকরা। নির্ধারিত সময়ে সালে বাজিন থিয়েটার একদম পরিপূর্ণ।
উর্দু ভাষার লেখক সাদত হাসান মান্টোর জীবনী নিয়ে তৈরি এই ছবিতে উঠে এসেছে ১৯৪৭ সালের দেশভাগ, সেই সময়ের ধর্ম ও রাজনীতি এবং সেই সময়ের আখ্যান।
ছবি দেখা শেষে ব্রাজিলের এক চলচ্চিত্র পরিচালক বলেন, ‘আমি উপমহাদেশের ইতিহাস খুব একটা জানি না। কিন্তু এটা বুঝি, পরিচালক এখানে একজন লেখকের গল্প বুনেছেন। যে প্রশ্ন ছুড়েছেন তাঁর পরিচয় ও জাতীয়তা নিয়ে। এটা দারুণ।’
ভারতের কেরালার চলচ্চিত্রপ্রেমী তরুণী বার্নাডেট উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। বলেন, ‘ছবিটি অনেক ভালো। বিশেষ করে এর সিনেমাটোগ্রাফি। স্টোরি টেলিংটা এত প্রাণবন্ত যে আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।’
এত দর্শকের দারুণ সাড়ায় এই দিন উচ্ছ্বসিত ছিল টিম ‘মান্টো’।
তাই তো মান্টোর সহপ্রযোজক সমীর দীক্ষিত আনন্দ নিয়ে সালে বাজিন থিয়েটারের সামনে বলেন, ‘আমরা বেশ আনন্দিত বিশ্বের নানা প্রান্তের এত এত দর্শক দেখে। নন্দিতা দাশ এমন ছবিই বানাতে চেয়েছেন, যা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’
আর প্রযোজক জ্যোতিশ ভার্মার ছোট্ট কথা, ‘ছবির গল্পটা বাক স্বাধীনতার, যেটা এখনো বিশ্বের অনেক দেশেই নেই।’
ছবিতে অভিনয় করেছেন নওয়াজ উদ্দীন সিদ্দিকী,তাহির রাজ ভাসিন, রাসিকা দুগ্গাল ও আরো অনেকে।
নন্দিতা দাশ এর আগে ২০১৩ সালে কান উৎসবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র বিভাগের বিচারক হয়ে এলেও পরিচালক হিসেবে এবারই প্রথম।