স্বাধীনতার মাসে প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’
বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠির বৈষম্য মূলক আচরণ, নিপিড়ন, শোষণ, বাঙালি জাতির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচার এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের কর্তৃক সংগঠিত বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’ (The Bangladeshi genocide through Pakistani eyes)।
প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন প্রবাসী বিশিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা, মিডিয়া শিক্ষক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ফুয়াদ চৌধুরী। ৬১ মিনিট ব্যপ্তিকালের প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও স্বাধীনতা উৎসব উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাত দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে, আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশে প্রথমবার প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হবে।
প্রামাণ্যচিত্রে অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের প্রত্যক্ষদর্শী চারজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যাঁরা বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা প্রতিবাদী কণ্ঠে তুলে ধরেছেন।
তাঁরা হলেন রওশন জামিল (১৯৭১ সালে যশোর জেলার পাকিস্তানি প্রশাসক, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারী হিসেবে অবসর নেন), সাংবাদিক তারেক খান (১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান), মোয়াজ্জেম খান (১৯৭১ সালে স্কুল পড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম খান, বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সে কারণেই জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট) এবং লেখক ও কলামিস্ট তারেক ফাতাহ।
এই চার প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিশিষ্টজনের বক্তব্য, বিশ্লেষণ, ক্ষোভ, তিরষ্কার আর নিপীড়িত, নির্যাতিত, অসহায় বাঙালি নিধন যজ্ঞের ভয়াবহতার চিত্র নিয়েই ফুয়াদ চৌধুরী মূলত নির্মাণ করেছেন এই অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র।