বাপ্পীর বুকে মাথা রেখে কেন কাঁদছে আঁখি?
এনটিভি অনলাইনের জন্য এফডিসিতে ফটোশুট করছিলেন নায়ক বাপ্পী। এমন সময় আশপাশে ভিড় জমে যায়। দেখা যায়, পাশেই দাঁড়িযে কাঁদছে আঁখি নামের ১৪-১৫ বছরের একটি মেয়ে। তার সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে তার মা খাদিজা ও খালা রুনু।
কী হয়েছে জানতে চাইলে, মেয়েটি আরো জোরে কান্না শুরু করে। কী হয়েছে জানতে চান নায়ক বাপ্পীও। কোনো উত্তর দেয় না মেয়েটি। তখন তার মা বলেন, ‘সে আপনাকে দেখতে এসেছে। তবে সত্যি যে আপনাকে সামনা সামনি দেখতে পাবে সেটা ভাবতে পারেনি আমার মেয়ে। এ কারণে সে কান্না থামাতে পারছে না।’ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে এই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মেয়েটির মা খাদিজা বলেন, ‘আমার মেয়ে নায়ক বাপ্পীর অনেক ভক্ত। আমরা প্রতিদিন তাঁর ছবির গান দেখি। এমন কোনো ছবি নেই যেটা বার বার দেখা হয়নি। এমনকি বাপ্পীর কোনো পোস্টার চোখে পড়লে আমি ও আমার মেয়ে দাঁড়িযে তা দেখি। আজ আসলে বাপ্পীকে দেখতে এসেছিলাম। তবে সত্যি দেখতে পারব তা আমরা বুঝতে পারিনি। এ কারণে আমার মেয়ে কান্না থামাতে পারছে না।’
কথা শেষ হতেই বাপ্পীকে জড়িয়ে ধরে আঁখি। বাপ্পী তার মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দেন। আঁখি এনটিভি অনলাইনকে বলে, ‘আমরা এর আগে কয়েকবার এফডিসিতে এসেছি। তখন একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। আমরা প্রায়ই তাকে ফোন করে বিরক্ত করতাম। আজ ফোন দিযে জানতে পারলাম বাপ্পী ভাই এফডিসিতে আছেন। শুনেই আমি, মা ও খালা চলে আসলাম। তবে এসেই যে দেখে ফেলব বুঝতে পারিনি। মনে করেছিলাম তিনি হয়তো দেখাই করবেন না।’ বলেই আবার কান্না শুরু করে মেয়েটি।
আঁখি বলে, ‘বাপ্পী ভাইযের ছবি মুক্তি পেলে আম্মু আমাকে নিয়ে দেখতে যান। ফেসবুকে নতুন কোনো ছবি আপ করলে আম্মু আমাকে ডেকে দেখান।
ছোটবেলা থেকেই ছবি দেখেন জানিয়ে খাদিজা বলেন, ‘আমার বিয়ে হয় তিন বছর বয়সে। বারো বছর বয়স থেকে সংসার করছি। আমার স্বামী ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, আমাদের সময় দিতে পারেন না। আমি আমার মেয়েকে নিয়ে ছবি দেখি। আমার যখন সাত-আট বছর বয়স তখন থেকেই ছবি দেখছি। আমার অনেক ভালো লাগে। বিয়ের পর মেয়ের বাবা যখন সময় দিতে পারত না, তখন অপেক্ষা করতাম মেয়ে বড় হওয়ার। এখন সে বড় হয়েছে, আমি তাকে নিয়ে সময় কাটাই। জানি না বিয়ের পর তার কোনো ইচ্ছে তার স্বামী পূরণ করবে কি না। আমি কোনো ইচ্ছে অপূর্ণ রাখতে চাই না।’
বিষয়টি নিয়ে বাপ্পী বলেন, ‘এটা তো অনেক পাওয়া মানুষের কাছে। তাঁরা আমাকে ভালোবাসেন বলেই আমরা কষ্ট করতে সাহস পাই।’