জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসবের পর্দা নামছে আজ
'জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব-২০১৮' শেষ হচ্ছে আজ বুধবার। গত ১ জানুয়ারিতে এই উৎসব শুরু হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে সুরের মূর্ছনা।
গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের নবম দিনে শিল্পী কামাল জহির শামীমের পরিবেশনায় সরোদের সুর শোনেন শ্রোতারা। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ, ফেনী, মুন্সীগঞ্জ, পঞ্চগড়, নেত্রকোনা, জয়পুরহাট ও কুমিল্লা জেলার যন্ত্রশিল্পীরাও এদিন যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন।
আজ অনুষ্ঠানের শেষ দিনে থাকছে ড. রূপসী মমতাজের বেহালা, মুর্তাজ কবির মুরাদের বাঁশি, সালাউদ্দিন শান্তনুর সন্তুর, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জেলার অর্কেস্ট্রা। এ ছাড়া থাকছে রাঙামাটি, লালমনিরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, সিলেট ও রাজশাহী জেলার যন্ত্রশিল্পীদের পরিবেশনা।
বর্তমান সংগীতে আধুনিক যন্ত্রের অতিমাত্রিক ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় বাদ্যযন্ত্র। বাংলা সংগীতজগতের প্রায় নয়শ ধরনের যন্ত্রসংগীত বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে না। যন্ত্রশিল্পীরাও বাদ্যযন্ত্র পরিবেশনা সুযোগের অভাবে চর্চার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বাংলার বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রসংগীতকে রক্ষা ও মানসম্মত চর্চাসহ নতুন প্রজন্মকে দেশি বাদ্যযন্ত্রে আগ্রহী করে তোলা এ উৎসবের মূল লক্ষ্য।
ফেনী জেলা থেকে আসা বাদ্যযন্ত্র বাদক রাজেশ মজুমদার বলেন, ‘যন্ত্রসংগীত ও বাদ্যযন্ত্র সংরক্ষণের জন্য শিল্পকলা একাডেমি একটি সময়োপযোগী উৎসবের আয়োজন করেছে। আমি আশা করছি, বিলুপ্তপ্রায় যন্ত্রসংগীত ও বাদ্যযন্ত্র আবার প্রাণ ফিরে পাবে।’
যন্ত্রসংগীত উৎসবের দর্শক সঞ্চিতা রাংসা বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত এমন একটি উৎসবে আসতে পেরে। ধন্যবাদ জানাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে। আশা করি, তারা প্রতিবছর যন্ত্রসংগীত উৎসবের আয়োজন করবে।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিয়ে যাওয়া যন্ত্র পুনরায় সংগীতে ব্যবহার করার চিন্তা এবং বর্তমান যন্ত্রীদের প্রতিভার বিকাশের প্রয়োজনেই এই উৎসবের আয়োজন তারা প্রতিবছরই করবে।