‘খাস জমিন’ কেন চলেনি, উত্তর দিলেন পরিচালক
গত ১০ নভেম্বর দেশের ৩১টি সিনেমা হলে মুক্তি পায় ‘খাস জমিন’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সারোয়ার হোসেন। ছবিতে অভিনয় করেছেন নায়ক সাইমন সাদিক ও আইটেম গান খ্যাত বিপাশা কবির। সপ্তাহ জুড়ে ছবিটি সিনেমা হলে চালানো হলেও মাত্র এক লাখ টাকা ফেরত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক। তিনি মনে করেন বাংলাদেশে সব ছবিরই মন্দা চলছে, তাই তাঁর ছবিটিও চলেনি।
এনটিভি অনলাইনকে পরিচালক সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন আসলে দর্শক ছবি দেখতে চায় না। যেখানে নায়ক সাইমনের মতো শিল্পী অভিনয় করেছেন, কাজী হায়াৎ, আমজাদ হোসেন অভিনয় করেছেন, সেখানে দর্শক কেন দেখবে না? আসলে এখন আর দর্শক ছবি দেখতে চায় না। কোনো ছবিই ব্যবসা করতে পারছে না। আমারটাও করেনি।’
‘আয়নাবাজি’ বা ‘ঢাকা অ্যাটাক’ এই ছবিগুলো ভালো ব্যবসা করেছে বলেই সবাই জানে। তাহলে কোনো ছবিই ব্যবসা করতে পারছে না—এই কথাটি কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি তারা ব্যবসা করতে পারেনি। শুধু আওয়াজ দিচ্ছে। কথায় কথায় বলছে আট কোটি পেয়েছে প্রযোজক, একটা সিনেমা হলে দর্শক যে টাকা কাউন্টারে দেয়, তার ১০ শতাংশও পায় না ছবির প্রযোজক। কেউ যদি বলে আট কোটি টাকা কামিয়েছে, তাহলে হিসাব অনুযায়ী দর্শক দিয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এটা কতটা সত্য তা মানুষ বুঝতে পারে। তবে তারা প্রচারণায় এগিয়ে ছিল। আমাদের ছবির প্রচার তুলনামূলক কম হয়েছে।’
‘খাস জমিন’ ছবির প্রচার কেন কম হয়েছে, সেটারও ব্যাখ্যা দেন পরিচালক। বলেন, ‘আসলে আমাদের ছবিকে মিডিয়া ঠিক মতো কাভারেজ দেয়নি। আমার ফেসবুক, সাইমনের ফেসবুক আর বিপাশার ফেসবুক, এই তিনটি ফেসবুক থেকে প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের আর কতজন ফলোয়ার আছে, যে সারা দেশে ছবির খবর পৌঁছে যাবে?’
আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাইলে হেসে সারোয়ার বলেন, ‘এক লক্ষ টাকা ফেরত পেয়েছি। আমার খরচ হয়েছে সত্তর লাখ টাকা, তার মানে আমি এই ছবিতে উনসত্তর লাখ টাকা লস করেছি। আমরা ছবিটি ৩১টি সিনেমা হলে মুক্তি দিয়েছিলাম।’
‘খাস জমিনে’র এমন ভরাডুবির পরও হাল ছাড়তে রাজি নন এই পরিচালক। বলেন, ‘আমি তো নতুন একটা গল্প রেডি করেছিলাম, কিন্তু এই ছবির যে অবস্থা তাতে নতুন ছবি আর কী বানাব। একজন প্রযোজক ছবির বিষয়ে কথা বলেছিলেন, আমি উনাকে বলেছি ছবি বানাতে পারব, কিন্তু টাকা ফেরত দিতে পারব না। আসলে এই ছবি উচ্চমার্গীয় একটি ছবি, যেখানে সমাজের কথা বলা হয়েছে, গতানুগতিক গল্প আর নাচ গান নিয়ে আমি ছবি বানাতে পারব না। তবে আমি হাল ছাড়িনি, এই ছবিটি আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা দেব।’