তারকার প্রথম
‘হঠাৎ বৃষ্টি’তে ফেরদৌস পেয়েছিলেন এক লাখ টাকা
জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো কেউ ভুলতে পারেন না। চিত্রনায়ক ফেরদৌসও পারেননি। তিনি নাকি বাস্তবে প্রথম প্রেমে পড়ার আগেই রুপালি পর্দার নায়িকাদের প্রেমে পড়েছিলেন। প্রথম প্রেমের কথা ছাড়াও তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া প্রথম উল্লেখযোগ্য অনেক ঘটনা এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে বলেছেন ফেরদৌস।
প্রথম স্কুল : মানিকগঞ্জের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল।
প্রথম শিক্ষক : হায়দার স্যার। আমি স্টুডেন্ট হিসেবে ভালো ছিলাম। কখনো রেজাল্ট আমার খারাপ হয়নি। ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর পর্যন্ত আমার রোল এক থেকে তিনের মধ্যে ছিল। হাই স্কুলেও এক থেকে ১০ রোলের মধ্যেই আমি ছিলাম।
প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র : অন্য ছবির শুটিং আগে করলেও প্রথম মুক্তি পেয়েছে আমার অভিনীত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবিটি। ছবিতে আমার পারিশ্রমিক ছিল এক লাখ টাকা। ছবিটির জন্য প্রথমে আমাকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। পরে শুটিং শেষে আমাকে আরো দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা।
প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অভিজ্ঞতা : ‘পৃথিবী আমাকে চায় না’ ছবিতে প্রথম ক্যামেরার সামনে আমি দাঁড়িয়েছিলাম। খুব বেশি নার্ভাস ছিলাম না। কারণ ছবির শুটিংয়ের আগে বিবি রাসেলের সঙ্গে অনেক ফ্যাশন শো আমি করেছি। দেশের বাইরে গিয়েও র্যাম্পে হেঁটেছি। তাই প্রথম ক্যামেরায় শট দেওয়ার সময় স্বাভাবিক ছিলাম। শুধু সংলাপ বলতে গিয়ে একটু ভয় লেগেছিল। ছবিতে আমার নায়িকা ছিলেন পরী। মেয়েটি একটি মাত্র ছবিতেই অভিনয় করেছিল। এ ছাড়া ছবিটিতে রিয়াজ ও দিলদার ভাই অভিনয় করেছিলেন।
প্রথম পারিশ্রমিক : বিবি রাসেলের কাছ থেকে পেয়েছি। তাঁর কোরিওগ্রাফিতে র্যাম্পে হেঁটে সম্ভবত দুই হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম। এটা ১৯৯৫ সালের কথা।
টাকাটা পেয়ে মাকে আমি দিয়েছিলাম। শুধু প্রথম পারিশ্রমিক নয় শুরুর দিকে সব কাজের পারিশ্রমিক আমি আমার বাবা-মাকে দিয়েছি। তাঁরা টাকাগুলো আমার জন্য জমিয়ে রাখতেন। আমার জমানো টাকা দিয়ে ঢাকার উত্তরার আমার জন্য তাঁরা একটা জমিও কিনেছিলেন। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে তাঁরা জমিটা কিনেছিলেন এখন সেই জমির দাম কয়েক কোটি টাকা। এটা বাবা-মার কাছ থেকে পাওয়া আমরা আশীর্বাদ।
প্রথম প্রেম : রুপালি পর্দায় নায়িকাদের দেখে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম। শাবানা, ববিতার ভিউকার্ড আমি সংগ্রহ করতাম। তাঁদের খুব পছন্দ করতাম। এ ছাড়া অনেক নায়িকার ছবি পত্রিকা থেকে আমি কেটে নিজের কাছে রেখেছি। রুনা লায়লাকেও আমার ভালো লাগত।
প্রথম পড়া গল্পের বই : ‘উভচর মানব’। এটা একটা অনুবাদ বই ছিল। তারপর থেকে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়া শুরু করি। এখন পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ছি।
প্রথম হলে দেখা চলচ্চিত্র : ‘জিঞ্জির’। ছবিটিতে রাজ্জাক সাহেব, আলমগীর সাহেব ও ববিতা অভিনয় করেছিলেন। অনেক তারকা বহুল ছিল ছবিটি। সোহেলা রানাও ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন। নারায়ণগঞ্জের একটি সিনেমা হলে আমার বড় ভাই জাকির দাদা ছবিটি দেখার জন্য আমাদের ভাইবোনদের নিয়ে গিয়েছিলেন। দাদা টিকেট ভুল কেটেছিলেন। তাই আমাদের হলে বসে নয়, দাঁড়িয়ে ছবিটি দেখতে হয়েছিল। তখন আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি। এখনো এই স্মৃতি আমার কাছে রঙিন।