গত ১২ জুলাই রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং ইউনিটে নবাগত এক মডেলকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ আনা হয়েছে বিজ্ঞাপনচিত্রের পরিচালক টাইগার রাজিবের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞাপন বা চলচ্চিত্রের শুটিং স্পট হিসেবে পরিচিত গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল গড় ইউনিয়নের হোতাপড়ার অবস্থিত খতিব খামার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। সেখানে মদিনা খাঁটি সরিষার তেলের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং চলছিল।

ধর্ষণ চেষ্টার পর ওই রাতেই ওই নারী মডেলর বাবা অভিযোগ দায়ের করেন জয়দেবপুর থানায়। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন বিজ্ঞাপনচিত্রের পরিচালক আকবর হোসেন রাজিব (টাইগার রাজিব), তাঁর বাড়ি বরিশালে। টাইগার রাজিবের সহযোগী নরসিংদীর আবুল কালাম আজাদ, চাঁদপুরের মো. আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওমর ফারুক, পাবনার রেন্টু, ঝিনাইদহের জুম্মান, ময়মনসিংহের খলিল, কুমিল্লার হিমেল ও নরসিংদীর শুভ।

হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) সৈয়দ আজাহারুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সরিষা তেলের ভিডিও চিত্রে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার বিকেলে এক নারীকে ঢাকা থেকে হোতাপাড়ায় নিয়ে আসেন তাঁরা। এরপর তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে সেই মডেল বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া শুটিং ইউনিটের সব সরঞ্জাম ফাঁড়িতে জব্দ করে রাখা হয়েছে।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রাত সাড়ে ৮টা বা তার কিছু কাছাকাছি সময়ে ওই মডেল শুটিং স্পটের একটি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সে সময় পরিচালক টাইগার রাজিব ও তাঁর সহকারী আজাদ তাঁর কক্ষে ঢুকে ঘরের দরজা আটকে দেন এবং অন্যরা বাইরে অবস্থান করতে থাকেন। এরপর রাজিব ও আজাদ সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিয়ে, কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি তাঁর বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানান। পরে তাঁর স্বজনরা ঘটনাটি পুলিশকে জানালে, পুলিশ ওই মডেলকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে নয় যুবককে আটক করে।