হুমায়ূন আহমেদের শূন্যতা অনুভব করছেন শাওন
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ। মানুষ ঘরবন্দি। সরকার মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি তারকারাও নিজ অবস্থানে থেকে সবাইকে সচেতনতার বাণী দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যতিক্রম নন মেহের আফরোজ শাওনও। তবে এমন কঠিন দিনগুলোতে প্রয়াত স্বামী হুমায়ূন আহমেদের শূন্যতা বেশি করে অনুভব করছেন শাওন।
জনপ্রিয় এ কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতার জীবনসঙ্গী শাওন বলেন, ‘এটা ঠিক হুমায়ূন থাকলে অনেক কথা সহজভাবে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন। যেটা আমরা বলবার চেষ্টা করছি, সরকার প্রধান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পর্যন্ত যে কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন, সেগুলো খুব সাধারণভাবে পৌঁছে দিতে পারতেন।’
প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারে হুমায়ূন আহমেদ রচিত কুদ্দুস বয়াতির কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পাওয়া ‘এই দিন দিন নয়’ গানটির কথা স্মরণ করেন শাওন আরও বলেন, ‘সাধারণ কিছু অভ্যাস বদলালে বা রপ্ত করতে পারলেই যে আমরা করোনার মতো এ রকম একটা মহামারি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারি, এটা হয়তো উনি ছড়িয়ে দিতে পারতেন তাঁর কলামে, গানে বা নির্মাণে। সে দায়িত্বটা এখন তাঁর ভক্তদের। হুমায়ূনের মতো করে না হোক, তাঁরা তাঁদের ভালোবাসার শক্তিটাই যেন কাজে লাগান।’
সম্প্রতি গানবাংলার নিয়মিত আয়োজন ‘মিউজিক ফর পিস-এফবি লাইভ’। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী মেহের আফরোজ শাওন। অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘ দিন’ চলচ্চিত্রের গান ‘সোয়াচান পাখি’ গানটি পরিবেশন করেন শাওন। প্রশ্ন আসে, বেঁচে থাকলে এই দুর্যোগে কী করতেন হুমায়ূন আহমেদ? এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শাওন।
শাওন বর্তমানে সন্তানদের সঙ্গে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। পরিবারকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি শাওন চর্চা করছেন নজরুল সংগীত। দুই সন্তান নিষাদ ও নিনিতের কাছ থেকে পিয়ানো শেখারও পরিকল্পনা করছেন। অন্যদিকে, তাদেরও নানা ধরনের সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকতে উৎসাহিত করছেন।
শাওনের মতে, গান শোনা, বই পড়াসহ মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে এই সময়টাকে যতভাবে কাজে লাগানো যায়, সবার তা-ই করা উচিত।
শাওন বলেন, ‘নিজেকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি আমি আমার দুই সন্তানকে সময় দিচ্ছি। বড় ছেলে নিষাদের হাতে তার বাবার (হুমায়ূন আহমদের) বইগুলো তুলে দিচ্ছি। ছোট ছেলেকে বাংলা শেখাচ্ছি। আমার মনে হয়, এখনই সময় শিশুদের আরও বেশি মানবিক করে তোলার। আমি তাদের খাবার অপচয় না করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এখন তারা বাড়তি খাবার নেয় না। প্রতিদিনই কিছু খাবার ছাদে গিয়ে কাককে খাওয়ায়। কিংবা বাড়তি খাবারগুলো দারোয়ানের মাধ্যমে বাইরের ভ্রাম্যমাণ অসহায় প্রাণীদের জন্য পৌঁছে যায়।’