সৃজিত-মিথিলার বিয়ে : ঘৃণা না ছড়ানোর অনুরোধ অনুপমের
বাংলাদেশের জামাই হয়ে গেছেন ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। যথারীতি এ দেশের অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা এখন ভারতের বধূ। জামাই আদর বাকি থাকলেও বধূবরণ হয়েছে পারিবারিক আবহে। সাদামাটা সে আয়োজনে আন্তরিকতার কমতি না থাকলেও তাঁদের বিয়ের খবরে সৌজন্যতার কমতি দেখাচ্ছেন অনেক নেটিজেনই। আর আক্রমণাত্মক নেটিজেনদের নিবৃত্ত করতে এবার এগিয়ে এলেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী অনুপম রায়।
বিয়ের পর থেকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন নবদম্পতি সৃজিত-মিথিলা। বিয়েতেও উপস্থিত ছিলেন জাঁদরেল তারকারা। এপার বাংলা থেকেও ওপার বাংলায় ভেসে গেছে অভিনন্দনের বার্তা। দাম্পত্য জীবনের সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিনোদনসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিরা। এসব স্বাভাবিক ঘটনার পাশাপাশি কিছু তিক্ত ব্যাপারের মুখোমুখিও হতে হয়েছে এই যুগলকে। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে অনবরত বিদ্বেষ-ঘৃণা ছড়াচ্ছেন কেউ কেউ। শালীনতার সীমা অতিক্রম করে যাওয়া অনেক মন্তব্য দেখে কেউ কেউ লজ্জায় মুখ ঢাকছেন। আর এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি অনুপম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সৃজিতকে অভিনন্দন জানানোর পালা শেষ করেছেন এরই মধ্যে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘No points for guessing who is getting hitched today! সৃজিতদার জীবনে বসন্ত এসে গেছে! অভিনন্দন কমরেড!’
তাঁর পোস্টটি এরই মধ্যে ৩৭ হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে। এতে মন্তব্য জমা পড়েছে তিন হাজারেরও বেশি। কিন্তু সেখানেও বাদ সাধেন কিছু নেটিজেন। অনুপমের পোস্টেও তাঁরা একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকেন। সব দেখেশুনে প্রতিবাদী হন অনুপম। মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘শুভদিনে অভিনন্দন জানাতে না পারলেও ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াবেন না। এটা অনুরোধ।’ তাঁর এই অনুরোধ যে নেতিবাচক মন্তব্য করা লোকদের উদ্দেশেই ছিল, তা বোঝাই যাচ্ছে। অনুপমের এমন অনুরোধে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তবে এতে অন্তর্জালে বিদ্বেষ ছড়ানোর হার কিছুটা কমে কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মিথিলার সঙ্গে সৃজিতের পরিচয় বন্ধুত্ব দিয়ে যাত্রা শুরু। ধীরে ধীরে প্রেমের পথে পা বাড়ান তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। খবর রটেছিল, আগামী বছরের মার্চে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর বিয়ের কাজটা সেরেই ফেললেন তাঁরা। এ দিন কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল জহরকোট গায়ে চাপিয়েছিলেন সৃজিত। আর মিথিলার পরনে ছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কপালে ছিল ছোট্ট টিপ। কানে-গলায় ছিল গহনা। এই বিশেষ দিনে মিথিলা পাশে পেয়েছেন মেয়ে আইরাকেও। সৃজিত ও মিথিলার মধ্যমণি হয়ে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় ছবিও তুলেছে সে।
মন দেওয়া-নেওয়ার পর্ব শেষে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন। গতকাল শনিবার দুজনে উড়াল দেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভার উদ্দেশে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ওই ছবিতে চিরাচরিত ভঙ্গিতে মেহেদিরাঙা অবস্থায় দেখা যায় মিথিলার হাত। এ পাশে থাকা সৃজিতের আঙুলে ছিল আংটি। মিথিলার হাতেও আংটি দেখা যায়।