‘সবাই বলে হিরো আলম পারে না, কেউ বানাইছে?’
পুরো নাম আশরাফুল আলম সাঈদ হলেও তাঁকে সবাই হিরো আলম নামেই চেনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। ভারতের বড় বড় সংবাদমাধ্যমও তাঁর খবর বেশ ফলাও করে প্রচার করে। অবশ্য তাঁকে নিয়ে হাস্যরস বা কটাক্ষেরও কমতি নেয় নেট-দুনিয়ায়।
সিনেমার গান দিয়ে মিউজিক ভিডিও, পরে নিজের ছবির নিজেই নায়ক। তাঁকে নিয়ে অনেকে হাস্যরস করলেও বর্তমানে তিনি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিরো আলম।
এরই মধ্যে তিনি কাজ করেছেন চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। নির্মাণ করেছেন। অর্থাৎ একাধারে তিনি নির্মাতা-প্রযোজক-নায়ক। সম্প্রতি এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, “আমি এর আগে একটা মুভি করেছিলাম, ‘মারছক্কা’। সেই ছবিতে আমি সেকেন্ড হিরো ছিলাম। এখন আরেকটি ছবি করেছি, ছবির নাম ‘সাহসী হিরো আলম’। এই ছবির প্রযোজক আমি নিজেই। আর পরিচালক এ আর মুকুল নেত্রবাদী।”
মানুষের বিদ্রুপ-কৌতুক প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রতিটা নাটক-সিনেমায় আমার অনেক সংগ্রাম করে আসা। অনেকেই বলে, হিরো আলম ভালো করে কথা বলতে পারে না, অভিনয় করতে পারে না। কিন্তু আপনারাই বলেন, কোনো প্রডিউসার, পরিচালক কি আমাকে নিয়ে ভালো কিছু বানাইছে? আমি ভালো অভিনয় পারি কি পারি না, এটা কি কেউ দেখছে? দেখে নাই। কিন্তু সবাই বলে হিরো আলম পারে না।”
দেখুন ভিডিওতে :
“বড় বড় যাঁরা শিল্পী, তাঁদের কিন্তু প্রযোজক-পরিচালকরা তৈরি করছে। আর হিরো আলমকে কেউ তৈরি করে নাই। এত দূর আসছি শুধু নিজের প্রচেষ্টায়। এই সিনেমাটা করতেছি এই কারণে যে ‘মানুষের এত ভালোবাসা, এত জনপ্রিয়তা, সবাই আমাকে কীভাবে দেখে’—এ জন্যই আসলে ছবিটি প্রযোজনা করা। ছবির নাম ‘সাহসী হিরো আলম’,” যোগ করেন আলম।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা করতে তো অনেক টাকা প্রয়োজন, এত টাকা কোথায় পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমার ছোট একটা কেবলের-ডিশের বিজনেস। সেখানে হাজার দুয়েক লাইন, গ্রাহক আছে। সেখান থেকে মোটামুটি ভালো টাকা হয়। সেখান থেকেই কিছু টাকাপয়সা আর মিডিয়াতে কিছু কাজকাম, কিছু ইভেন্ট করে কিছু কিছু টাকা জমাইছি। আর কিছু লোক আমাকে অর্থনৈতিক সাহায্য করেছে, বড় বড় কিছু বন্ধু আমাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে।’
জনগণের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যেই সংসদ সদস্যপদে নির্বাচন করেছিলেন, এ দাবি হিরো আলমের। গুঞ্জন আছে, তিনি নাকি নিজের পরিবারের প্রতিই যত্নহীন। যিনি নিজের পরিবারের প্রতি উদাসীন, তিনি কীভাবে জনগণের সেবা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, ‘মিডিয়া আসলে গুজবের ওপর চলে। আমি পরিবারকে সময় দিতে পারি না, তাঁদের দেখি না, এসব কেউ সাক্ষী দিতে পেরেছে? আমাকে নিয়ে কীভাবে সমালোচনা করা যায়, এটা কিন্তু মিডিয়া ভালো করে জানে। কেউ সাক্ষী দিতে পারে নাই হিরো আলম কয়েকটা বিয়ে করছে বা পরিবারকে সময় দিতে পারে না।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া থেকে অংশ নেন হিরো আলম। প্রথমে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নেন। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন। পরে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বয়কট করেন।