শর্তসাপেক্ষে ১৬ অক্টোবর খুলতে পারে সিনেমা হল
দীর্ঘ ছয় মাস ২৭ দিন পর আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়া হতে পারে। আজ সোমবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিনেমা হল খোলার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিনেমা হল খোলার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। আগস্ট মাসের শুরুর দিকে আমরা একবার বসেছিলাম। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছিল ১৫ সেপ্টেম্বরের পর বৈঠক করে আমরা হলগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আলোচনা করে আমরা যে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছি, সেটি হচ্ছে—যদি করোনা পরিস্থিতি এখন যে পর্যায়ে আছে, ট্রেন্ডটা যদি কমতির দিকেই থাকে, তাহলে ১৬ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খুলে দিতে পারি। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি গ্রহণ করব। হলগুলো খুললে সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ধারণক্ষমতার অর্ধেক দর্শক নিয়ে সিনেমা হল চালু হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কীভাবে আসন বিন্যাস হবে, সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। সেভাবেই আসন বিন্যাস করতে হবে।’
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাটসহ অনেকেই।
বৈঠক শেষে এনটিভি অনলাইনকে মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম, চলতি মাসের শুরুতেই সিনেমা হল খোলা হোক। তবে অবশেষে সিনেমা হল খোলার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এতে আবারও নতুন করে যাত্রা করবে চলচ্চিত্র। করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে বাংলা সিনেমার। প্রায় পাঁচ মাস শুটিং বন্ধ ছিল। এতে বেকার হয়ে পড়েছে সিনেমা হলের কর্মচারীরা। হল-সংশ্লিষ্ট কর্মজীবীদের অবস্থা করুণ। আশা করি, এ অবস্থা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব সিনেমা হল। এতে যেমন দর্শক হলমুখী হতে পারছেন না, তেমনই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত অনেকের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। হল মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারী, সবার একপ্রকার আয় বন্ধ। অন্যদিকে নতুন নতুন সিনেমা পড়ছে শিডিউল জটিলতায়। পিছিয়ে যাচ্ছে সিনেমার মুক্তি। তবে সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্তে সিনেপাড়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।