রাত ৮টার পর এফডিসিতে প্রবেশ নিষেধ
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএফডিসিতে বাড়তে থাকে আনাগোনা। পরিচিত-অপরিচিত শিল্পী-কলাকুশলীদের আড্ডা দেওয়ার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। এমনকি এফডিসির দুয়েকটি সংগঠনের কোনো কাজ না থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত কার্যালয় খোলা রাখারও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগগুলোকে আমলে নিয়ে রাত ৮টায় এফডিসির সব সংগঠনের কার্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাত ৮টার পর কাজ ছাড়া কেউ এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও যুগ্ম সচিব নুজহাত ইয়াসমিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এফডিসিতে আসার পর থেকেই এমন অভিযোগ শুনে আসছি। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এফডিসির শীর্ষ সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রাত ৮টার পর কোনো সমিতি তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে না। অযথা আড্ডা দেওয়া যাবে না। বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ এরপর এফডিসিতে প্রবেশও করতে পারবে না। তবে শুটিং-ডাবিং-এডিটিং জাতীয় কাজ করার জন্য পূর্ব শিডিউল অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় এফডিসিতে কাজ করা বা অবস্থান করা যাবে।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বলেন, ‘গভীর রাত পর্যন্ত এফডিসিতে আড্ডা দেওয়ার বিষয়টি আমরা সবাই অবগত। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় যে এফডিসি কর্তৃপক্ষ নোটিশ করে সমিতিগুলোকে রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুয়েকটি সংগঠনের জন্য আমাদের সবাইকে লজ্জা পেতে হলো। তার পরও আমরা এমন সিদ্ধান্তে খুশি। কারণ আমরা সেখানে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য যাই বা সংগঠন পরিচালনা করি। আড্ডাবাজি বা কোনো বিতর্কিত কাজ করার জায়গা নয় এফডিসি।’
তবে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সহকারী পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী মনির। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে চলচ্চিত্রের কাজ কম হলেও কিছু দিনের মধ্যে বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাজ শুরু হবে। আমাদের অনেকেই এখন নাটক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। প্রায় তাদের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করতে হয় রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। কিছু মানুষের আড্ডাবাজির জন্য আমাদেরও কাজে ব্যাঘাত হবে।’