এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সিমিতিসহ বিএফডিসির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মোস্তফা কামাল সৈয়দ মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে তাঁর জানাজা হয়। এরপর ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় তাঁর সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তফা কামাল সৈয়দের মৃত্যুতে ঢালিউড অঙ্গনেও শোকের ছায়া নামে। চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) থেকে ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। উচ্চ রুচিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন তিনি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যখন এনটিভিতে যাওয়া হতো, উনার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিস করতাম না। এতো ভালো মানুষের সান্নিধ্য পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়। উনার মৃত্যুতে আমরা চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি শোকাহত। আল্লাহ যেন উনাকে বেহেস্ত নসিব করেন।’

শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। তাদের অফিশিয়াল ফেসবুকে এক শোকবার্তায় লেখা হয়, ‘সবার শ্রদ্ধার মানুষ মোস্তফা কামাল সৈয়দ (এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান) আজ না ফেরার দেশে চলে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে গভীর শোক ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

পরিচালক সমিতির মহাসচিব নির্মাতা বদিউল আলম খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এমন দুর্যোগের সময় আমরা উনার মতো একজন দিকপালকে হারালাম। অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র, বিচক্ষণ ও ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। উনার শূন্যতা কখনো পূর্ণ হওয়ার নয়। আমরা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘উনাকে সালাম দেওয়ার পর এত সুন্দরভাবে তা গ্রহণ করতেন। সালামের উত্তর দিয়ে খুব সুন্দরভাবে কুশল জানতে চাইতেন, যাতে মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ পেত। উনার মৃত্যুতে একজন রুচিশীল মানুষকে হারাল বিশ্ব। আমরা হারালাম মিডিয়ার একজন দিকপালকে। তিনি যেখানেই থাকুন, যেন ভালো থাকেন। আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ আসনে স্থান দেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।’

চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী মনির বলেন, ‘আমাদের সমিতির অনেক সদস্য নাটক নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। এনটিভিতে নাটক প্রচারের জন্য যখন উনার সঙ্গে দেখা করতেন, তখন উনার দিকনির্দেশনা ছিল শিক্ষণীয়। আমরা শুধু একজন ভালো মানুষই নয়, একজন শিক্ষককেও হারিয়েছি।’

মোস্তফা কামাল সৈয়দ কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন টিভি চ্যানেলে। ২০০৩ সালে এনটিভির শুরু থেকে তিনি অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানপ্রধান ছিলেন। ৫২ বছরের কর্মজীবনে তিনি পাকিস্তান টিভিতেও শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন।