‘মেকআপম্যান-ফটোগ্রাফাররা নায়ক-নায়িকাদের চামচা’
একটি চলচ্চিত্র পর্দায় যখন ফুটে ওঠে, তখন দর্শক দেখতে পায় শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। সিনেমার গানে কণ্ঠ শুনতে পান সংগীতশিল্পীর। তবে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে ঘাম ঝরে শতাধিক মানুষের।
নায়ক-নায়িকার সুন্দর রূপ পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে মেকআপম্যানদের নিখুঁত কারুকার্যের ভূমিকা অপরিহার্য। ফটোগ্রাফারদের তোলা অসাধারণ ছবি পোস্টারে দেখে আকৃষ্ট হয় সাধারণ মানুষ। এমন অজানা অনেক কলাকুশলীর ঘামের ফসল একেকটি চলচ্চিত্র।
সম্প্রতি মেকআপম্যান ও আলোকচিত্রীদের নায়ক-নায়িকা ও প্রযোজকদের চামচা হিসেবে অভিহিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক কাজী হায়াৎ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে কাজী হায়াৎকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের দুটি বিভাগ, মেকআপম্যান ও স্টিল ফটোগ্রাফি। এদের যাঁরা প্রধান থাকেন, তাঁরা সাধারণত নায়ক-নায়িকা প্রযোজক, এদের মোসাহেবি করেন। বাংলা কথায় যাকে বলে চামচামি।’
এখানেই শেষ নয়। মেকআপম্যান-ফটোগ্রাফারদের ব্যক্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জাঁদরেল এই নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘এর জন্য অনেকেই আমার ওপর রাগ করতে পারেন। তাঁদের তো বিবেক আছে, ব্যক্তিত্ব আছে, তাঁদের ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে না? যখন তাঁরা মোসাহেবি করেন, চামচামি করেন?’
এসব কথা বলার আর কেউ নেই, এমনটি দাবি করে কাজী হায়াৎ আরো বলেন, “আমার ওপর রাগ করতে পারেন অনেকেই, একবার ভেবে দেখবেন কথাটি সত্যি না মিথ্যা। আর আমার পক্ষ থেকে আমি বলব, আমার ৭৩ বছর বয়স। ৫০তম ছবি ‘বীর’-এর কাজ চলছে। আমার এখনই বলার সময়, আমি ছাড়া বলার বোধ হয় আর কেউ নেই।”
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ শাকিব-বুবলীকে নিয়ে নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ‘বীর’। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধশত সিনেমা নির্মাণ করলেও হালের জনপ্রিয় তারকা শাকিব খানকে নিয়ে এর আগে কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করেননি। ‘বীর’ তাঁর ৫০তম চলচ্চিত্র। এই ছবিতে শাকিব-বুবলী ছাড়াও অভিনয় করছেন সাদেক বাচ্চু, মিশা সওদাগর, শিবা শানু, জ্যাকি আলমগীর, কাবিলাসহ অনেকে।
কাজী হায়াৎ একাধারে একজন পরিচালক, কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা। ১৯৭৯ সালে ‘দি ফাদার’ নামে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালনা জীবন শুরু করেন। এর আগে পরিচালক মমতাজ আলীর সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে কর্মজীবন শুরু করেন।