ভালো নেই দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। শারীরিক নানা অসুবিধা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে তাঁর কেমোথেরাপি সাময়িক বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। জনপ্রিয় এই তারকার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তাঁর পরিবার।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর এন্ড্রু কিশোরের শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।

চিকিৎসার শুরুতে জানানো হয়েছিল, তাঁকে ছয়টি ধাপে ২৪টি কেমো দিতে হবে। এরই মধ্যে চার ধাপে ১৭টি কেমো সম্পন্ন হয়েছে। এরপর পঞ্চম ধাপের প্রথম কেমোথেরাপির প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থা অনুকূলে না থাকায় কেমো নিতে পারছেন না আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী। এখনো সাতটি কেমোথেরাপি দেওয়া বাকি।

কেমোথেরাপি শেষ করে ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফেরার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্পীর দেশে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়ও।

এ বিষয়ে এন্ড্রু কিশোরের শিষ্য, কণ্ঠশিল্পী মোমিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘আজ বুধবার সকালে দাদার (এন্ড্রু কিশোর) সঙ্গে কথা হয়েছে। উনার কথা বলতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল। প্রায়ই জ্বর আসছে। বর্তমানে শারীরিক কিছু অসুবিধা দেখা দেওয়ায় এ মুহূর্তে তাঁর কেমোথেরাপি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে উঠলে পুনরায় তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’

মোমিন বিশ্বাস আরো বলেন, ‘একটি বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করব, অনেকেই এন্ড্রু কিশোরের ব্লাড ক্যানসার হয়েছে বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, এটি পুরোপুরি সঠিক নয়! উনি মূলত নন-হজকিন লিম্ফোমাতে আক্রান্ত, যা পুরোপুরি ব্লাড ক্যানসার নয়। উনার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’

কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। এর পর থেকেই থেমে থেমে তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছিল।

বর্তমানে এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় প্রায় দুই কোটিরও বেশি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু চিকিৎসার জন্য এত ব্যয় বহন করতে পারছেন না বরেণ্য এ শিল্পী। বাধ্য হয়ে তিনি রাজশাহীতে তাঁর ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও ব্যক্তিগতভাবে গুণী এ শিল্পীর চিকিৎসায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।