বলিউড সুপারস্টার সালমান খান তাঁর দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে বক্স অফিসে একাধিক রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তাঁর অভিনয়দক্ষতা ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে জুটিয়েছেন অগণিত নারীভক্ত। তবে একটি বিষয় সালমান কখনোই চেষ্টা করেননি। পুরো ক্যারিয়ারে তিনি কখনোই পর্দার সামনে চুমু খাননি। হ্যাঁ, সালমান সব সময়ই চেয়েছেন, তাঁর ছবি যেন পরিবারের সবাই মিলে দেখতে পারেন। তাই শুরু থেকে তিনি তাঁর ছবিতে ‘নো কিসিং নীতি’ অবলম্বন করে চলেছেন।

ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড বাবলের প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবি নির্মাণকালে একজন ফটোগ্রাফার চেয়েছিলেন সালমান যেন তাঁর সহকর্মী ভাগ্যশ্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই বিব্রতকর ঘটনা সম্পর্কে মুখ খোলেন ভাগ্যশ্রী। সালমান কীভাবে তাঁকে নিরাপদ ও স্বস্তিতে ফেরান, সেটিও জানান তিনি। সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয় প্রতিবেদনে।

“সেখানে সে সময়ের ভীষণ জনপ্রিয় একজন আলোকচিত্রী ছিলেন, যিনি আর বেঁচে নেই। তিনি আমার ও সালমানের এমন কিছু ছবি নিতে চেয়েছিলেন, যার খুব একটা প্রয়োজন ছিল না। সুতরাং তিনি সালমানকে এক কোণে নিয়ে যান ও বলেন, ‘আমি যখন ক্যামেরা ঠিক করব, তুমি তাঁকে জাপটে ধরবে ও চুমু দেবে।’ আমরা সবাই সেখানে নবাগত ছিলাম আর ওই আলোকচিত্রী ভেবেছিলেন, এমন কিছু করার স্বাধীনতা তাঁর রয়েছে,” বলেন ভাগ্যশ্রী।

ভাগ্যশ্রী আরো বলেন, “তখন চুমুর দৃশ্যের প্রয়োজন ছিল না। আমি যে সালমানের খুব কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম ও তাঁদের সব কথাই শুনতে পাচ্ছিলাম, আমার মনে হয় না তা ওই আলোকচিত্রী বা সালমান জানতেন। এক সেকেন্ডের জন্য আমি স্তব্ধ হয়ে পড়ি। আমি শুনছিলাম, সালমান বলছেন, ‘আমি এমন কিছু করব না। আপনার যদি এমন কোনো পোজের দরকার হয়, তাহলে ভাগ্যশ্রীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’ আমি সত্যিই সালমানের উত্তরকে শ্রদ্ধা করি, তখনই আমি বুঝতে পারি যে নিরাপদ মানুষের কাছেই আছি।”

তবে ভাগ্যশ্রী ওই ফটোগ্রাফারের নাম প্রকাশ্যে আনেননি। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি সালমান ও ভাগ্যশ্রীর ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় হিট ছবি। তিন দশক পরও ছবিটি সবার ভালোবাসা পাচ্ছে, একে বিশেষভাবে মনে রেখেছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা।