বিবাহপ্রথায় পূর্ণ আস্থা রাকুলের
বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত বিষয় বিবাহবিচ্ছেদ। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো ভারতীয় উপমহাদেশেও বিবাহবিচ্ছেদের হার ঊর্ধ্বমুখী বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান। এর নেপথ্যের কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সাধারণের বিচ্ছেদ নিয়ে তেমন একটা শোরগোল না হলেও তারকাদের বিচ্ছেদ ঘিরে নানা মুখরোচক গল্প শোনা যায়। তবে বলিউড অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং ভালোবাসা ও বিবাহপ্রথার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল। লোকে একে কেন ‘একরকম চাপ’ হিসেবে নেয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেন রাকুল। ‘ব্যক্তি হিসেবে আমি বদলেছি। আমি যা ছিলাম, তা এখন আমি নই এবং আমার কাছে ভালোবাসার অর্থ বাবা-মায়ের মধ্যে আমি যা দেখি। আমি সম্পূর্ণরূপে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান ও ভালোবাসায় বিশ্বাস করি। আমার মনে হয় এগুলো সুন্দর। মানুষ কেন এটিকে একরকম চাপ বলে মনে করে, তা আমি বুঝতে পারি না। আপনি যখন কাউকে ভালোবাসেন, আপনি সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন আর আমি এ রকমের মানুষ,’ বলেন রাকুল।
একজন পুরুষের মধ্যে তিনি কোন কোন গুণাবলী খুঁজে ফেরেন, সেটিও জানাতে ভোলেননি রাকুল। রাকুল বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ছেলেটিকে লম্বা হতে হবে। এমনকি পাহাড়ে দাঁড়িয়েও আমি যাতে তাঁকে দেখতে পারি। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ গুণটি হচ্ছে, তাঁকে বুদ্ধিমান হতে হবে আর সর্বশেষ তাঁর জীবনে কিছু লক্ষ্য থাকতে হবে।’
নিজেকে সব সময়ই অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন বলেও জানান রাকুল। ‘আমি সব সময় অভিনেত্রী হতে চেয়েছি। ১৮ বছর বয়সে মডেলিংয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করি। অবশেষে প্রথম চলচ্চিত্রটি আমি হাতখরচের জন্য করি এবং অনেকের নজরে আসি। প্রথমবারের মতো কন্নড় চলচ্চিত্রে কাজ করার ডাক পাই,’ বলেন রাকুল।
তবে পড়াশোনাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন রাকুল। আর এটি করতে গিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাজ হাতছাড়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এখন অবশ্য তাঁর অগ্রাধিকারের প্রথম স্থানেই রয়েছে চলচ্চিত্র। এর পরের স্থানটি ফিটনেস আর তৃতীয় স্থান খাদ্য, এ কথা একটি অনুষ্ঠানে নিজেই জানিয়েছিলেন রাকুল।