বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যান্ডদল বিটিএস
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে উত্তাল সারাবিশ্ব। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত দুর্যোগময় পরিস্থিতির মধ্যেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন সবাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। পিছিয়ে নেই তারকারাও। এবার ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পপ সেনসেশন বিটিএস।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্ববিখ্যাত ওই কে-পপ ব্যান্ড দলটি জানিয়েছে, তাঁরা বর্ণবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। ব্যান্ডটির সাত সদস্য জিন, সুগা, জে-হোপ, আরএম, জিমিন, ভি ও জাঙ্কু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্মমভাবে খুন হওয়া আফ্রিকান-আমেরিকান নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলনে নিজেদের সমর্থনও ব্যক্ত করেন তাঁরা।
‘আমরা জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। আমরা সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। আপনার ও আমার; আমাদের সবারই সম্মানের অধিকার রয়েছে,’ অফিশিয়াল টুইটার পেজে এই কথা লেখা হয় বিটিএসের পক্ষ থেকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়েসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড। গত ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাঁকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না।’
এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।