ফেরদৌস-পূর্ণিমার কাদা মাখামাখি (ভিডিও)
গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে শিল্পীদের যেমন প্রচণ্ড গরমে জ্যাকেট গায়ে মারামারি করতে হয়, তেমনি শীতের দিনে কাদা মেখেও নদীর শীতল পানিতে নামতে হয়। এমন অনেক কষ্টের ফসল একটি চলচ্চিত্র।
গতকাল রোববার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গাঙচিল নদীর তীরে ‘গাঙচিল’ ছবির শুট করেন ফেরদৌস-পূর্ণিমা ও আনিসুর রহমান মিলন। শীতের সকালে কাদা মেখে শুট করেন তাঁরা। শট দেওয়ার পর কাদা উৎসবে মাতেন নির্মাতা ও শিল্পীরা।
শুটিংয়ের একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন মেকআপম্যান মোহাম্মদ খলিল। সেখানে দেখা যায়, নায়ক ফেরদৌসের কাদামাখা শরীর। তিনি সহকারী পরিচালক আবুল কামাল আজাদকে জড়িয়ে ধরে তাঁকে কাদা মাখিয়ে দিচ্ছেন। এমন সময় আজাদের দিকে এগিয়ে যান নায়িকা পূর্ণিমা, তাঁর শরীরও কাদামাখা। দুজন যখন আজাদকে কাদা মাখাচ্ছিলেন, তখন এগিয়ে আসেন ছবির আরেক অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। তিনজন মিলে যখন আজাদকে কাদা মাখাচ্ছেন, তখনই ফেরদৌসের চোখ যায় মেকআপম্যান মোহাম্মদ খলিলের দিকে। তিনি সেদিকে এগিয়ে যান। জড়িয়ে ধরে খলিলকে কাদা মাখাতে শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন পূর্ণিমাও। চলে কাদা মাখামাখি।
এ ব্যাপারে এনটিভি অনলাইনকে ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল কাদা মেখে শুটিং করেছি। ঢাকা ও তার আশপাশে এখন শীত কিছুটা কম হলেও আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে শীতটা এখনো আছে। এই শীতে কাদা মেখে শুট করাটা বেশ কষ্টের। আমার সঙ্গে পূর্ণিমা ও মিলনকেও কাদা মাখতে হয়। আমরা শীতে কাঁপছিলাম, আর অনেকে মজা নিচ্ছিল। পরে শট শেষ করে মনে হলো একটু কাদা উৎসব করি।’
সহকারী পরিচালক আবুল কামাল আজাদ বলেন, ‘গতকাল আমরা সকাল ৮টায় শুটিং শুরু করি। ফেরদৌস ভাই বা পূর্ণিমা সব সময় শুটিং চলাকালে অনেক মজা করেন। তবে গতকালের মজাটা শীতের সময় শাস্তির মতো ছিল। তার পরেও আমরা সবাই খুব মজা করেছি।’
দেখুন ভিডিওতে :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চলছে ‘গাঙচিল’ ছবির শেষ পর্যায়ের শুট। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে, চলবে টানা সাত দিন। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।
এ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। ছবিতে সাংবাদিকের চরিত্রে দেখা যাবে ফেরদৌসকে। এনজিও কর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। বিশেষ একটি চরিত্রে রয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা। আরো রয়েছেন তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন, আহসানুল হক মিনু প্রমুখ।
এবারের লটের শুটিংয়ে ছবির প্রায় সব অভিনেতা-অভিনেত্রীই অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক। কোম্পানীগঞ্জে শুটিং শেষে ঢাকায় অল্প কিছু কাজের পর ক্যামেরা ক্লোজ হবে।
‘গাঙচিল’ ছবিটি নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের গাঙচিল উপন্যাস অবলম্বনে। ‘গাঙচিল’ লেখকের নিজ নির্বাচনী এলাকার একটি গ্রামের নাম। মূলত এ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র নিয়ে উপন্যাসটি রচিত হয়েছে।
এর আগে এ ছবির শুটিং করতে গিয়ে নোয়াখালীতেই দুর্ঘটনায় পতিত হন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। সে সময় শুটিং বন্ধ করে ইউনিট ঢাকায় ফিরে যায়।