প্রেমের গল্প, কাব্যিক সংলাপ, হৃদয়ছোঁয়া গান
কী ছিল না এই ছবিতে? দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ভাইয়ের মতো একাত্মা তাঁদের। অথচ এক নারীর প্রেমে মত্ত দুজন। দয়িতার জন্য ভালোবাসা আর উৎসর্গের কাব্যিক বর্ণনাই যেন দর্শকের হৃদয়কে আবেগমথিত করেছিল। আর গান? সবার মুখে মুখে ফিরত। নিশ্চয়ই পাঠকের ‘সাজন’ ছবির কথা মনে পড়ছে!
হ্যাঁ, ১৯৯১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউডি ছবি ‘সাজন’। ওই বছরে সুপারডুপার হিট। সালমান খান, সঞ্জয় দত্ত আর মাধুরী দীক্ষিতের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে লরেন্স ডি’সুজা নির্মাণ করেছিলেন এ ছবি। দেখতে দেখতে ২৯ বছর পাড়ি দিল এ ছবি। অথচ আজও মানুষের হৃদয়ে পাকা আসন গেড়ে আছে এ ছবির গল্প, সংলাপ ও গান।
ছবির নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত, যাঁর নৃত্যের ঝংকার আজও মানুষের হৃদয়ে দোলা দেয়। ২৯ বছর পাড়ির বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছেন তিনি। চিত্রনাট্য পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, ছবিতে কাজ করবেনই। কারণটা কী ছিল। শুনুন তাঁর মুখে, ‘গল্প ছিল প্রেমময়, সংলাপ ছিল কাব্যিক আর গান ছিল অসাধারণ।’ আর তাই তো সুপারহিট ‘সাজন’।
আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে ‘সাজন’ ছবির গান। সমীরের কথায় নাদিম-শ্রাবণের সুর স্মরণীয় হয়ে থাকবে আরো বহু যুগ। বিশেষ করে ছবির ‘মেরা দিল ভি কিতনা পাগল হ্যায়’, ‘বহুত পেয়ার করতে হ্যায়’ ও ‘দেখা হে পেহলি বার’ শোনেননি এমন সংগীতপ্রিয় মানুষ মেলা ভার।
মাধুরী যদিও ১৯৮৮ সালে ‘খাতরোঁ কি খিলাড়ি’ ও পরের বছর ‘কানুন আপনা আপনা’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তবু ‘সাজন’ ছবির পরেই তাঁরা রোমান্টিক জুটিতে পরিণত হন। তাঁদের দারুণ রসায়ন দর্শককে আন্দোলিত করে। সালমানই বা কম কীসে। একসময় তাঁরাও অন্যতম দর্শকপ্রিয় জুটিতে পরিণত হন।