পূজায় নাড়ু খাব, কিন্তু কাউকে দেব না : মনোজ
পূজা মানেই উৎসব, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি; সবমিলিয়ে পাঁচ দিনের বাধাহীন উচ্ছ্বাস। বছর ঘুরে আবার এসেছে দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় আপনার পছন্দের তারকারা কীভাবে সময় পার করবেন, তাঁদের পূজার রুটিন কি আপনার-আমার মতোই? তা জানার চেষ্টা করেছে এনটিভি অনলাইন।
তারকাদের পূজা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ কথা বলেছেন ছোট পর্দার অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। মনোজের পর্দার বাইরের পরিচয়, তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিস বিভাগের শিক্ষক। বর্তমানে ছোট ও বড় পর্দার এই পরিচিত মুখ আগে কাজ করেছেন সহকারী পরিচালক হিসেবে।
ছোটবেলায় পূজা
ছোটবেলায় পূজাটা হচ্ছে নতুন জামাকাপড় পরা এবং তারপর ঠাকুরদা-ঠাকুরমারা প্রণামী দিত, সেটা নিয়ে মেলায় যাওয়া। দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন... আমার ছোটবেলা আর বড়বেলার পূজার মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য তৈরি হয়নি। কারণ, আমি এখনো আমার এলাকায় পূজা করি।
তারকা হওয়ার পর পূজা
আমি আসলে অত বড় স্টার তো হইনি যে মণ্ডপে গেলে সমস্যা হবে বা কিছু একটা হয়ে যাবে। আমি এখনো যেকোনো সময় যেকোনো মণ্ডপে যেতে পারি। হ্যাঁ, এখন লোকজন অ্যাপ্রিশিয়েট করে, কথা বলে, ছবি তোলে... ভালো লাগে। এত ছবি কেউ তোলে না যে আমি আসলে বিরক্ত হয়ে যাব।
এবারের পূজা
এবারের পূজার পরিকল্পনা সপ্তমীর দিন বাড়িতে (নওগাঁ, নিয়ামতপুর, রাধানগর) যাব। তারপর আত্মীয়স্বজন, ভাইবোন—সবার সঙ্গে সময় কাটাব। দশমী পর্যন্ত থাকব এবং পূজায় যা যা হয়, সেগুলো করব। নাড়ুটাড়ু খাব কিন্তু কাউকে দেব না (হাসি)।
পূজার কেনাকাটা
সেভাবে আসলে কেনাকাটা করা হয়নি। বাসার সবার জন্য পোশাক কেনা, এই...
পূজায় সেরা উপহার
এটা তো বলা মুশকিল। হ্যাঁ, একটা বিষয় বলতে পারি, প্রতি পূজায় আর কেউ কিছু দিক বা না দিক, বাবা আমাদের তিন ভাইকে একটা করে গামছা কিনে দেন, এটা সবচেয়ে স্মরণীয়। এটা প্রতি বছর দেন, মাস্ট।
ঘোরাঘুরি
আমাদের গ্রামের বাজারে যে মণ্ডপ আছে, সেখানে পূজা উপভোগ করব। এ ছাড়া আশপাশের গ্রামে নৌকা বা গাড়ি দিয়ে যেতে পারি।
ঘোরার সঙ্গী
ভাই, ভাইয়ের বাচ্চা, আমার কাজিন, অনেক সময় মা-বাবা, চাচা, মামা সবাই থাকে। সবাই একসঙ্গে ঘোরা হয়, মাঝে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরা হয়। গ্রামে আমার কম বন্ধু আছে, সেজন্য বন্ধুদের সঙ্গে কম ঘোরা হয়।
মজার স্মৃতি
পূজা নিয়ে তো সবই মজার স্মৃতি। সবচেয়ে ভালো যেটা এখনো ঘটে, প্রতিমা বিসর্জনের দিন নৌকা নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে দেখানো হয়। তারপর নিজ গ্রামে এসে বির্জসন দেওয়া হয়। এই মুহূর্তটা খুব এক্সসাইটিং, ঢাকের তালে-তালে সবাই নাচে, খুবই ভালো লাগে।