পিপিই নিয়ে চিকিৎসকদের পাশে কুসুম শিকদার
বিশ্বজুড়ে এ মুহূর্তে বিরাজ করছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। তবে এর মধ্যেই নির্ঘুম সময় কাটাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নিয়ে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই।
এবার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চিকিৎসকদের কাছে পিপিই পৌঁছে দিলেন অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক ও সেবিকাদের কাছে পিপিই পৌঁছে দিলেন তিনি। চিকিৎসক ও সেবিকাদের উপস্থিতিতে এসব পিপিই গ্রহণ করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
এ বিষয়ে কুসুম শিকদার বলেন, ‘আমি হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। আমার মতো অনেকেই এখন হোম কোয়ারেন্টিনে আছে। তবে সে সুযোগ নেই ডাক্তারদের। যে কারণে তাঁরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তাই পিপিই দেওয়ার চিন্তা মাথায় এসেছে। আমি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে নিজে যেতে পারিনি। আমার ব্যক্তিগত গাড়িচালক হাসপাতালের পরিচালক এবং ওই বিভাগের চিকিৎসক ও সেবিকাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন পিপিইগুলো।’
কুসুম শিকদার আরো বলেন, ‘পিপিই একবার ব্যবহার করা যায়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসক ও নার্সদের কাছে সংকট তৈরি হয়েছে এ সরঞ্জামের। যেহেতু একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হচ্ছে, সে কারণে এর চাহিদা তৈরি হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর বাংলাদেশে আরো বেশি সংকট। তাই পিপিই বেশি জরুরি আমাদের এখানে।’
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবেন বলেও জানান এ অভিনেত্রী। এ বিষয়ে কুসুম শিকদার বলেন, ‘এ সময় সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুররা। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। অনেকেই আছেন, যাঁরা এরই মধ্যে এমন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমিও নিজের সাধ্যমতো কিছু খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তা বিতরণ করব।’
কুসুম শিকদার নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০০২ সালে তিনি লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক চ্যাম্পিয়ন হন। ২০১০ সালে ‘গহীনে শব্দ’ দিয়ে কুসুম শিকদারের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘লাল টিপ’-এর জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন এবং তাঁর অভিনীত পরবর্তী চলচ্চিত্র ‘শঙ্খচিল’-এর জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।