নাড়ির সম্পর্ক আগেই ছিল, এখন নারীর সম্পর্ক হয়ে গেল : সৃজিত
হবে, হচ্ছে করেও যা হচ্ছিল না, তা যে এভাবে হুট করেই হয়ে যাবে, তা কে ভেবেছিলেন? শোনা যাচ্ছিল, আগামী বছরের মার্চে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা ও ভারতের পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। কিন্তু জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে তাঁরা বেছে নিলেন অঘ্রানের হিম সন্ধ্যাকে।
গতকাল ৬ ডিসেম্বর বিয়ে সেরেছেন সৃজিত-মিথিলা। বিয়ের ঘটনায় চমক থাকলেও নাটকের নাটকীয়তা কিংবা সিনেমার সাসপেন্স— কিছুই ছিল না আয়োজনে। ভারতের কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে নিকটাত্মীয়, ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে সৃজিতকে জীবনসঙ্গী করে নিলেন মিথিলা। মিথিলা এসেছিলেন বাংলার চিরায়ত বধূ সাজে। তাঁর পরনে ছিল ঐতিহ্যবাহী জামদানি, কপালে ছিলে ছোট্ট টিপ। সৃজিতকে দেখা গেল কালো পাঞ্জাবির সঙ্গে লাল জহরকোর্ট পরিহিত অবস্থায়। অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছিল মিথিলার মেয়ে আইরা। শুধু তা-ই নয়, নবদম্পতির মধ্যমণি হয়ে ছবিও তুলেছে আইরা। এ ছাড়া ছিলেন দুই পরিবারের উল্লেখযোগ্য সদস্যরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে হয় সৃজিত-মিথিলার বিয়ের অনুষ্ঠান। তবে সেই অনুষ্ঠানে একেবারেই কোনো আড়ম্বর ছিল না। ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়েটা সারেন সৃজিত ও মিথিলা। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, কবি শ্রীজাতসহ সৃজিত মুখার্জির আরো কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব।
ঘরোয়া আয়োজনে টিপসই, স্বাক্ষর দিয়ে, সব আনুষ্ঠানিকতার পালা শেষ করেই ‘বাংলাদেশের জামাই’ বনে যান সৃজিত। তবে তাঁরা ভেতরে যখন রীতিনীতি পালনে ব্যস্ত, বাইরে তখন গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়। ওপার বাংলার সাংবাদিকরা তো ছিলেনই, মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি। সৃজিত সেখানে আসামাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরেন তাঁরা।
বাংলাদেশের জামাই হতে পেরে কেমন লাগছে, গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সৃজিত বলেন, ‘নাড়ির সম্পর্ক তো আগেই ছিল, কেননা আমার বাড়ি বিক্রমপুর ও ময়মনসিংহে—বাবা ও মায়ের দিক দিয়ে। এখন নারীর সম্পর্কটা হয়ে গেল। ভালো লাগছে খুব। সত্যি কথা বলতে, বাংলাদেশে এত বন্ধু আছে, আমি যখনই ওখানে যাই, আপন করে নেন মানুষ। সো ওটা যে একটা আলাদা দেশ, এমনটি আমাকে কখনোই স্ট্রাইক করেনি। তাই বাংলাদেশ আলাদা দেশ, ওরকম কিছু কখনো মনে হয়নি।’
মিথিলার সঙ্গে সৃজিতের পরিচয় বেশ কয়েক বছরের। প্রথমে অবশ্য বন্ধুত্ব দিয়ে যাত্রা শুরু। ধীরে ধীরে প্রেমের পথে পা বাড়ান তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই তাঁদের বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। খবর রটেছিল, আগামী বছরের মার্চে বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাঁরা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ের কাজটা সেরেই ফেললেন তাঁরা।
জি নিউজের খবর, আগামী মার্চে বড় করে সৃজিত-মিথিলার রিসেপশন পার্টি দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।