উৎকণ্ঠা, বুক দুরু দুরু, সারল্য, প্রতীক্ষা—এসবই ছিল নব্বইয়ের দশকের প্রেমে, এমনটি বলে থাকেন অনেকে। ল্যান্ডফোনের দিনগুলোর সেইসব প্রেম নিয়ে অনেককেই রোমন্থন করতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন একসময়ের সাড়াজাগানো বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি।

ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদনে জানা যায়, নব্বইয়ের দশকে বলিউড সিনেমায় বেশ সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন শিল্পা। প্রেম কিংবা বিরহে, পর্দায় শিল্পার উপস্থিতি মানেই ছিল দর্শকদের বাড়তি কিছু পাওয়া।

তবে সেইসব দিন পেরিয়েছে অনেক আগে। সময় বদলেছে, পাল্টেছে প্রেমের ধরন। হাতে হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে যাওয়ায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ল্যান্ডফোনে প্রেয়সীর ‘হ্যালো’ শুনতে পাওয়ার অম্লমধুর প্রতীক্ষা এখন আর দেখা যায় না। প্রেমিকার জন্য কলেজগেটের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না প্রেমিককে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রাম বেশ ভালোভাবেই প্রেমে যোগাযোগের দূরত্ব কমিয়েছে। কিন্তু তাতে মনের দূরত্ব কি কমেছে? সম্পর্কের জটিলতা কি হ্রাস পেয়েছে?

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শিল্পা। সেখানেই চলমান সময় নিয়ে কথা বলেন তিনি। শিল্পা মনে করেন, জীবন এখন অনেক বেশি জটিল হয়ে গেছে। সম্পর্কে অনেক বেশি চাপ নিতে হয় আজকাল।

এখনকার প্রেম নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ে শিল্পার কণ্ঠে। তাঁর মতে, নব্বইয়ের দশকের প্রেম অনেক বেশি সহজ ছিল। ‘আমাদের ফোন ছিল না। নব্বই দশকের শেষের দিকে বা প্রথমদিকে মোবাইল এলো। আমার যদি ভুল না হয়, ১৯৯৬ সালে এটি আসে। বিশ্বাস করুন মোবাইলের দাম ছিল তখন অনেক বেশি,’ বলেন শিল্পা।

শিল্পা আরো বলেন, ‘আমরা ফোনে কল করতাম ও একটি ব্লাঙ্ক কল দিয়ে রাখতাম। আমার মনে হয়, এটি বেশ সরল ছিল। আমি আসলে এটি বর্ণনা করতে পারব না। জীবন এখন অনেক বেশি জটিল। আমরা নিজেদের জন্যই একে কঠিন করে তুলেছি। সম্পর্কে অনেক বেশি চাপ নিতে হয় এখন। তবে আপনাকে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে।’

ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রাকে বিয়ে করেছেন শিল্পা। তাঁদের ঘরে একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। আগামীতে ‘নিকাম্মা’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ফিরতে দেখা যাবে তাঁকে।