দেড় বছর অভিনয় না করার মতোই, কষ্ট হয় : শর্মিলী আহমেদ
মধ্যরাত থেকে অন্তর্জালে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। এসব শুভেচ্ছাবার্তা অভিনেত্রীর নজরে এসেছে কি না জানতে আজ শনিবার দুপুরে যখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলো, জানালেন, ‘হ্যাঁ, এটা ভালো লাগে। সবাই ভালোবাসে, পছন্দ করে দেখেই আমাকে উইশ করে। ভালো লাগে...।’
বিশেষ এই দিনের পরিকল্পনা কী? এনটিভি অনলাইনকে শর্মিলী আহমেদ জানালেন, ‘পরিকল্পনা তো গত বছর থেকে সব বাদই দিয়েছি। করোনার মধ্যে কী পরিকল্পনা করব বলেন। এত পরিচিত জন, এত প্রিয় মানুষ চলে যাচ্ছে। সব সময় মনটা খারাপই থাকে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে একটা করে খবর পাই... কী করব, খারাপ লাগে। আগে করতাম, কেক কাটতাম, রাতে রান্না করতাম, বোনেরা বাসায় আসত। গত বছর থেকে কিছুই করি না, এখন সব ফোনে-ফোনে করি। আজ মেয়ে রান্না করছে, এই আর কি...।’
করোনা-পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে কাজ করছেন, এমন প্রশ্নে অভিনেত্রীর জবাব, ‘ভালো লাগে না কোনো কিছু, কাজকর্ম নেই, সারা দিন ঘরে বসে থাকি। আমি ঈদের অনেকগুলো নাটক বাদ দিলাম। এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। বলতে গেলে, দেড় বছর অভিনয় না করার মতোই, কষ্ট হয়। এই বয়সে ঝুঁকি নিয়েও তো কাজ করা ঠিক নয়। এটাই খারাপ লাগে।’
তবে শর্মিলী আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘ অভিনয়-ক্যারিয়ারে কোনো অপ্রাপ্তি নেই। তাঁর ভাষ্যটা এমন, ‘আমি কাজ ভালোবাসি, অভিনয় আমার মনের জিনিস, আত্মার জিনিস। এখনও অভিনয় করতে পারি, এটাই ভালো লাগে। অভিনয় এখনও করতে পারছি, ডাক আসছে এখনও... তৃপ্তির কথা। কিন্তু পরিস্থিতি সব আনন্দ মাটি করে দিচ্ছে। কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না।’
নাটকে প্রবীণ চরিত্র কমে যাচ্ছে, যেটা ভালো লাগে না শর্মিলী আহমেদের। বললেন, ‘একটা নাটকে সব চরিত্রই থাকা উচিত। বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই থাকা উচিত। আগে বেশি থাকত, এখন কম থাকে।’
১৯৬৪ সালে অভিনয়-ক্যারিয়ার শুরু করেন শর্মিলী আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘দম্পতি’-তে কাজ করেছেন। ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ নাটকে প্রথম বারের মতো মায়ের ভূমিকা পালন করেছিলেন।