দেশের অন্যতম ধনী হতে চাই : কঙ্গনা
জীবনের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন কঙ্গনা রনৌত। নিজেকে ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চান। আর এই স্বপ্ন নিজের বয়স ৫০ বছর হওয়ার আগেই পূরণ করতে চান কঙ্গনা।
বলিউডের অন্যতম তারকা অভিনয়শিল্পী কঙ্গনা রনৌত। নিজের মনের কথা প্রকাশে কখনোই কুণ্ঠাবোধ করেননি। বিনোদন অঙ্গনে তিনি ‘ঠোঁটকাটা’ বলেও পরিচিত। তবে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা না করে পারেন না কেউ। তাঁকে এখন বলা হয় বলিউড কুইন। আর এর সবই অর্জন করেছেন মেধা দিয়ে।
একসময় তাঁর তেমন কিছুই ছিল না। ঘর থেকে যখন বেরিয়ে পড়েন, তখন তাঁর পকেটে ছিল মাত্র দেড় হাজার রুপি। সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে নিজের সৃষ্ট সাম্রাজ্যে নিজেই মুকুট পরেন। কঙ্গনা রনৌত এখন বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের লক্ষ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন কঙ্গনা। তাঁর কথায়, ‘আজ যে জায়গায় এসে পৌঁছেছি, আমি কখনো ভাবিনি। আমার কাছে এসব কিছুই ছিল না। আমার কখনো বৈষয়িক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু আমি যখন দেখলাম, নারীদের বৈষয়িক উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকার কারণে পুরুষেরা দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর নারীরা অর্থনৈতিক কারণেই দুর্বল।’ সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কঙ্গনা আরো বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমিও অর্থ নিয়ে ভাবি না। তবে আবার যদি বাহ্যিক দিক থেকে দেখা যায়, তাহলে আমিও ছোট শহর থেকে সোনার খোঁজেই এখানে এসেছিলাম। আর এই বিষয়টা খুব খারাপভাবে আমায় বোঝানো হয়েছিল, যাতে আমার জীবন চিরতরে বদলে যায়। আর এর পরেই আমি বৈষয়িক হয়ে উঠি। আমি ভাবি যদি আমার কাছে অর্থ থাকে, তাহলে আমি আলাদা গুরুত্ব পাব। তাই আমার কাছে এখন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেশের অন্যতম ধনী হয়ে ওঠা। আমি চাই আমার ৫০ বছর বয়স হওয়ার আগেই এটা আমি অর্জন করি।’
দেখুন ভিডিওতে :
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে কঙ্গনা একটি বাংলো অফিস খুলেছেন। জমি কেনা থেকে শুরু করে এর ডিজাইন সব নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে করেছেন। এর জন্য কঙ্গনা খরচ করেছেন ৪৮ কোটি রুপি। কঙ্গনা নিজের প্রোডাকশন হাউজ ‘মনিকর্ণিকা ফিল্মস’-এর জন্য মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকা পালি হিলে ওই বাংলো নির্মাণ করেছেন। স্বপ্নের ওই স্টুডিও সাজাতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিজাইনার শবনম গুপ্ত।
কঙ্গনাকে আগামীতে ‘থালাইভি’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে। এটি ভারতের তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জে জয়ললিতার বায়োপিক। ছবিটি পরিচালনা করবেন এ এল বিজয়।