গুলশানে হোম কোয়ারেন্টিনে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে বনানীতে ফেরদৌস
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার এটাই এখন একমাত্র উপায়। এরইমধ্যে অসংখ্য মানুষ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। সবকিছু বাদ দিয়ে তারা পরিবারের সঙ্গে সময় পার করছে।
তবে এই সময়ে একই শহরে থাকলেও স্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন না জনপ্রিয় অভিনেতা নায়ক ফেরদৌস। তিনি নিজের সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বনানীর নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। আর তাঁর স্ত্রীর তানিয়া গুলশানের একটি বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে নায়ক ফেরদৌস আজ বুধবার বিকেলে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী পেশায় পাইলট হওয়ায় তাঁকে দেশের বাইরে যেতে হয়। গত সপ্তাহে লন্ডন থেকে ফিরে এখন হোমে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এদিকে বাচ্চাদের নিয়ে আমি বাসায় আছি। ভিডিও কলে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের মা। কঠিন এই বাস্তবতাকে মেনে নিতে হচ্ছে। আমরা দুজন আলাদা থাকছি, এটা শুধু কি আমাদের জন্য? আমি মনে করি, এটা সবার জন্য আমাদের ত্যাগ। কারণ, করোনা একজন থেকে অন্যজনের মধ্যে ছড়ায়। একজন থেকে পুরো এলাকায় ছড়াতে পারে। সবার এখন ঘরে থাকা এবং এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।’
ফেরদৌস আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখন বিশ্বের কী অবস্থা তা আমরা সবাই জানি। এখন নিয়ম মেনে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তাই সবাইকে অনুরোধ, আপনারা সবাই বাসায় অবস্থান করুন। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে, বেঁচে থাকুন। আর যে পরিবারটির কথা চিন্তা করে আপনি দিনরাত পরিশ্রম করছেন, সেই পরিবারটির মৃত্যুর কারণ যেন আপনি না হোন, সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন।’
২০০৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বৈমানিক তানিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। তাঁদের দুই মেয়ে নুজহাত ও নামিরা।
চলচ্চিত্রে আসার আগে ফেরদৌস র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের হাত ধরে র্যাম্পে তাঁর হাতেখড়ি।
ফেরদৌসের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে প্রয়াত নৃত্যপরিচালক আমির হোসেন বাবুর হাত ধরে। সালমান শাহর মৃত্যুর পর তাঁর অভিনীত অসমাপ্ত একটি ছবিতে কাজ করতে ফেরদৌস প্রথম ক্যামেরার সামনে আসেন ১৯৯৭ সালে, ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘বুকের ভিতর আগুন’ ছবির মাধ্যমে। সালমান শাহের মৃত্যুর পর ছটকু আহমেদ ছবির গল্পে কিছুটা পরিবর্তন করে ফেরদৌসকে কাজ করার সুযোগ দেন।
১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘পৃথিবী আমারে চায় না’ ছবির মধ্য দিয়ে। ব্যাপকভাবে আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ১৯৯৮ সালে ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির মাধ্যমে। এই ছবিতে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর থেকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।