সংগীতশিল্পী রানু মণ্ডলের উত্থানের গল্প হার মানায় রূপকথাকেও। তাঁর সুরেলা পরিবেশনা, অসাধারণ গায়কি হৃদয় ছুঁয়েছে অনেকের। তবে মুদ্রার অপর পিঠটিও এরই মধ্যে দেখে ফেলেছেন রানু। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আলোচনা-সমালোচনার তুঙ্গে থাকা রানু সম্প্রতি সমালোচনার শিকার হন বৈচিত্র্যময় পোশাকে র‍্যাম্পে হেঁটে ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, কলকাতার রানাঘাট রেলস্টেশন থেকে বলিউড আঙিনায় পা রেখেছেন রানু। এর পর থেকে আমূল বদলে গেছে রানুর জীবন। তবে তাতে বন্ধ থাকেনি সমালোচকদের মুখ। সম্প্রতি র‍্যাম্পে হাঁটার পর রানু মণ্ডলকে নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। আর মায়ের এ দুঃসময়ে চুপ থাকেননি মেয়ে এলিজাবেথ সাথি রায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাথি বলেন, ‘সারা জীবন লড়াই করে যিনি সাফল্যের দেখা পেতে শুরু করেছেন, তাঁকে এভাবে অযথা কটাক্ষ করা ঠিক নয়।’

তবে রানুকে র‍্যাম্পে হাঁটানোর ব্যাপারটি যে একেবারেই পছন্দ হয়নি সাথির, তাও প্রকাশ পেল কথায়। রানুকে একজন শিল্পী হিসেবে উল্লেখ করে সাথি জানান, তাঁর মা মডেল নন। তাই তাঁকে এভাবে উপস্থাপন করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন সাথি।

সাথি জানান, দরিদ্র পরিবার থেকে সংগ্রাম করে উঠে এসেছেন রানু। আর সে কারণেই তাঁকে নিয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে।

তবে সমালোচনাকে গায়ে মাখতে নারাজ সাথি। মানুষ রানুকে তাঁর গানের জন্যই মনে রাখবে বলে করেন তিনি।

কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের ‘এক পেয়ার কা নাগমা’ গেয়ে আলোচনায় আসেন কলকাতার রানু মণ্ডল। তাঁর অসাধারণ গায়কির কারণে অনেকেই তাঁকে ‘কলকাতার লতা’ নামে ডাকতে শুরু করেন। রানু ডাক পান বলিউডের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক ও গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে কাজ করার। হিমেশের ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ ছবিতে ‘তেরি মেরি কাহানি’ শিরোনামে গান গেয়ে আরেক দফা সবাইকে মুগ্ধ করেন রানু মণ্ডল।