ক্ষুধার্ত প্রাণীর পাশে জয়া
বিশ্বজুড়েই এ মুহূর্তে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজমান। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ঢাকার রাস্তা একেবারেই ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে সাধারণ দোকান। প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হচ্ছে না কেউ। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে অনেকেই। এ অবস্থায় প্রাণীদের অবস্থা হচ্ছে আরো শোচনীয়। এ সময়ে ক্ষুধার্ত প্রাণিণীর পাশে দাঁড়ালেন জয়া আহসান। ঢাকা শহরের পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বেশ কিছু কুকুরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন দুই বাংলার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
গত ২৭ মার্চ থেকে টানা কয়েকদিন নিজ হাতে ভাত ও মুরগির তরকারি রান্না করে রাস্তায় নামেন জয়া। ঢাকার দিলুরোড, ইস্কাটন গার্ডেন ও মগবাজার এলাকায় ঘুরে বেড়ানো ২৫-৩০টি কুকুরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন এ অভিনেত্রী। জয়ার এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন অনেকেই। এদিকে জয়া নিজেও কুকুর পুষতে ভালোবাসেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা জয়া বাইরে বের হলেও নিজের নিরাপত্তার জন্য মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরেন।
জয়া আহসান দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। দেশের চলচ্চিত্রের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রে বেশি ব্যস্ততা তাঁর। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ছয়টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, দুবার ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আরো অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
২০০৪ সালে ‘ব্যাচেলর’ ছবি দিয়ে বড়পর্দায় যাত্রা শুরু করেন জয়া। তিনি নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে বিলকিস বানু চরিত্রে এবং রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে সাংবাদিক নবনী আফরোজ চরিত্রে অভিনয় করে টানা দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘জিরো ডিগ্রী’ সিনেমায় অভিনয় করে তিনি ২০১৫ সালে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।