কে এই সৃজিত?
ভারতের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম সৃজিত মুখার্জি। পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়, চিত্রনাট্য, অর্থনীতিবিদ হিসেবেও দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা। ১৯৭৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা সমরেশ মুখার্জি স্থাপত্যবিদ্যার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। একাধারে কবি, শিক্ষক, চিত্রশিল্পী ছিলেন তিনি। সৃজিতের মা শরীরবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
সৃজিত তাঁর স্কুলজীবন শেষ করেন দোলনা ডে হাই স্কুল এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল থেকে। এর পর তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক পাস করেন। পরে তিনি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.ফিল ও পিএইচডি শেষ করেন। সৃজিত অর্থনীতিবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ হিসেবে কাজ করার সময় দিল্লিতে ইংরেজি সার্কিট থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন।
২০১০ সালে সৃজিত পরিচালিত ‘অটোগ্রাফ’ ছবিটি সিনেমাপাড়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই ছবিতে তাঁর নির্মাণশৈলী চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। এর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০১১ সালে সৃজিত নির্মাণ করেন ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিটি। এই ছবিটিও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। ২০১২ সালে ‘হেমলক সোসাইটি’, ২০১৩ সালে ‘মিশর রহস্য’, ২০১৪ সালে ‘জাতিস্মর ও চতুষ্কোণ’, ২০১৫ সালে ‘নির্বাক’, ও ‘রাজকাহিনী’র মতো অনবদ্য ছবিগুলো পরিচালনার মাধ্যমে টালিউডের শীর্ষ পরিচালকদের তালিকায় জায়গা করেন নেন তিনি।
ভারতের ৬১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সৃজিত পরিচালিত ‘জাতিস্মর’ ছবিটি চারটি পুরস্কার জিতে নেয়। এর পর ৬২তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তাঁর পরিচালিত ‘চতুষ্কোণ’ সিনেমাটির জন্য তিনি সেরা পরিচালক এবং সেরা চিত্রনাট্য বিভাগে পুরস্কার জিতে নেন। সৃজিত পরিচালিত ‘রাজকাহিনী’ ছবিটি হিন্দিতে ‘বেগম জান’ নামে পুনর্নির্মিত হয়েছে, যার নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। সৃজিতের নির্মাণাধীন ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘উমা’, ‘এক যে ছিল রাজা’ ইত্যাদি।
সৃজিতের সঙ্গে বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রেমের খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করছেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে।