করোনা আতঙ্কে ঢাকায় ফিরেছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিম
সারা বিশ্বে চলছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। করোনা প্রতিরোধে এরই মধ্যে দেশে ঘোষণা হয়েছে সরকারি ছুটি। এত আতঙ্কের মধ্যেও শুটিং করছিল চিত্রনায়িকা পরী মণি, অভিনেতা সিয়ামসহ ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের ৭০ জনের ইউনিট। ছবির শুটিং শেষ না করেই গতকাল রোববার রাতে ঢাকায় ফিরেছে তারা। সরকারি অনুদানের এ ছবিটির পরিচালক আবু রায়হান।
গত ১৪ মার্চ সকালে ছবির শুটিংয়ের জন্য সুন্দরবনের উদ্দেশে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু করে ইউনিট। মোট ২৫ দিন লঞ্চে শুটিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসজনিত আতঙ্কের কারণে শুটিং শেষ না করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ টিমকে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমার পর চলচ্চিত্রের বাকি শুটিং হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
আজ সোমাবার এনটিভি অনলাইনকে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা গতকাল রাতে সদরঘাট এসে পৌঁছেছি। রাত ১০টার মধ্যে আমরা সবাই বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি। ইউনিটের সবাই সুস্থ আছে। আমরা টানা ২২দিন শুটিং করেছি। এরই মধ্যে লঞ্চের শুটিং শেষ করেছি। তবে ছবির শুরু ও শেষের অংশ বাকি রয়েছে। এ শুটিং করা হবে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শেষ হলে ছবির বাকি অংশ শুট করার কথা রয়েছে।’
আজাদ আরো বলেন, ‘আমরা যেসব এলাকায় শুট করেছি, সেখানে লোকজনের যাওয়া আসা ছিল না। যেহেতু আমরা লঞ্চে শুটিং করেছি, তাই বেশির ভাগ সময় ছিলাম নদীতে। আর সুন্দরবনের যে লোকেশনে শুটিং হয়েছে, সে জায়গাটিও লোকালয় থেকে বেশ দূরে। যে কারণে আমরা সবাই বলতে গেলে এক ধরনের কোয়ারেন্টিনেই ছিলাম।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। প্রথমে চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। ছবিতে দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধেছেন সিয়াম-পরী।
চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিয়াম-পরী জুটির প্রথম কাজ। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। ছবিটি চলতি বছরের বিশেষ কোনো দিনে মুক্তি পাবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে।