করোনার কারণে বাবাকে শেষবার দেখতেও পারেননি সানা!
করোনাভাইরাসের প্রকোপে অস্থির পুরো বিশ্ব। দেশে দেশে চলছে লকডাউন। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে বেশিরভাগ দেশে। ভারতে চলছে ২১ দিনের ‘জনতা কারফিউ’। এমন কঠিন সময়ে গত ২২ মার্চ ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’খ্যাত অভিনেত্রী সানা সাইদের বাবা উর্দু ভাষার কবি আবদুল আহাদ সাইদ মারা যান।
ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামা ও হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনার কারণে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেননি সানা সাইদ। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছেন। ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বন্ধ রয়েছে ভারতে। সে কারণে ভারতে যেতে পারেননি অভিনেত্রী।
একটি দৈনিককে সানা সাইদ বলেছেন, তাঁর বাবা ডায়াবেটিস রোগী ছিলেন। এ ছাড়া নানা অসুখে ভুগছিলেন তিনি। এই অভিনেত্রী বলেন, সকাল ৭টার দিকে তিনি বাবার মৃত্যুর সংবাদ পান। এ কঠিন সময়েও তিনি চেয়েছিলেন, দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরে যেতে এবং মা ও বোনদের শোকের সঙ্গী হতে; তাঁদের আলিঙ্গন করতে। কিন্তু এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি বাবাকে হারালেন, যা হৃদয়বিদারক।
সানা সাইদ আরো জানান, তাঁর বাবা সত্যিই নানা অসুখে কষ্ট পাচ্ছিলেন। এবং তাঁর বিশ্বাস, তিনি পরলোকে এখন নিশ্চয়ই ভালো আছেন।
এ অভিনেত্রী জানান, জনতা কারফিউর কারণে বাবার মৃত্যুর দিন পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, জনসমাগম যাতে কম হয়।
সানা বলেন, ‘ওই দিনই আমার পরিবার বাবার জানাজা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং আমাদের হাতে সময় ছিল মাত্র তিন ঘণ্টা। যাওয়ার পথে পুলিশি তল্লাশির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যু সনদ দেখে তাঁরা ছেড়ে দেয়। আমি সেখানে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থাকলেও আমার বোন খুদেবার্তার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আমাকে খবরাখবর জানাচ্ছিল।’
কবে নিজ দেশ ভারতে ফিরতে পারবেন, সেটাও জানেন না সানা সাইদ। এ কঠিন মুহূর্তে তিনি নিজেকে প্রার্থনা, যোগব্যায়াম ও নানা অনলাইন কার্যক্রমে ব্যস্ত রাখছেন।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ সিনেমায় শাহরুখ খানের কন্যা অঞ্জলির ভূমিকায় অভিনয় করে ছোটবেলায়ই সবার নজর কেড়েছিলেন সানা সাইদ। বড় হয়ে আলিয়া ভাট, বরুণ ধাওয়ান ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমায় ফেরেন সানা।