কবরীর নায়ক রিয়াদ
অনেক দিন ধরেই নিজের চলচ্চিত্রের জন্য একজন নায়ক খুঁজছিলেন একসময়ের হার্টথ্রুব নায়িকা, কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার। কিন্তু মনের মতো নায়ক পাচ্ছিলেন না। অবশেষে যোগ্য নায়ককে খুঁজে পেলেন তিনি। কবরীর সিনেমার নায়ক হচ্ছেন ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম বয়’ রিয়াদ রায়হান।
চলচ্চিত্রও পরিচালনা করছেন কবরী সারোয়ার। তাঁর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘এই তুমি সেই তুমি’তে নায়ক হচ্ছেন রিয়াদ রায়হান। এর আগে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিয়্যালিটি শো ‘ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন। এরপর ৪০টির মতো নাটকেও কাজ করেছেন। তবে চলচ্চিত্র-দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন মুখিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
এনটিভি অনলাইনকে রিয়াদ রায়হান বলেন, ‘প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর ইচ্ছে থাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার। সেটা যদি হয় কিংবদন্তি অভিনেত্রী কবরী সারোয়ারের, তা হলে তো কথাই নেই। তাঁর ছবিতে সুযোগ পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগছে। চরিত্রটি আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি সব সময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।’
রিয়াদ আরো বলেন, ‘মাস তিনেক আগে আমি জানতে পারি, কবরী ম্যাডাম ছবির জন্য নতুন কাউকে খুঁজছেন। আমি তখনই উনার সঙ্গে দেখা করি। আর তিনি আমাকে পছন্দ করেন। এটি রোমান্টিক ঘরানার ছবি হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান সময়ের গল্প দেখানো হবে এতে। ছবির গল্পে আমি কলেজপড়ুয়া।’
গণমাধ্যমকে কবরী জানিয়েছেন, ‘এই তুমি সেই তুমি’ সিনেমার জন্য একজন তরুণ মুখ দরকার ছিল। রিয়াদের মধ্যে তিনি সেই সম্ভাবনা দেখেছেন। এ তারকার বিশ্বাস, রিয়াদ চেষ্টা করলে পারবেন। তিনি আরো জানান, শুটিংয়ের আগে অন্য শিল্পীদের নাম পর্যায়ক্রমে প্রকাশ হবে।
সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে ‘এই তুমি সেই তুমি’। এর আগে ২০০৫ সালে কবরী সারোয়ার ‘আয়না’ নির্মাণ করেছিলেন।
রুপালি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কবরী সারোয়ার দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর চিত্রপরিচালনায় এলেন। ১৪ বছর পর এ ছবি দিয়ে ফিরছেন পরিচালনায়। ‘এই তুমি সেই তুমি’ শুধু পরিচালনা নয়, এই ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লেখার দায়িত্বও তিনি সামলেছেন। এ ছাড়া ছবিতে তিনি অভিনয়ও করবেন।
১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন কবরী। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে সোহেল রানাসহ রাজ্জাক, ফারুক, উজ্জ্বল, জাফর ইকবাল ও বুলবুল আহমেদের মতো নায়কদের সঙ্গে তিনি অভিনয় করেছেন। ১৯৭৮ সালে নায়ক ফারুকের বিপরীতে ‘সারেং বউ’ ছবিতে অভিনয়ের পর তিনি ‘সারেং বউ’ নামে পরিচিতি লাভ করেন।