হোম আইসোলেশনে যেমন কাটল পপির ঈদ
করোনায় আক্রান্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। তিনি জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছেন। বর্তমানে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এবারের ঈদে সালামি দেওয়া ও নেওয়া মিস করেছেন পপি। গত মাসের শেষের দিকে করোনা পরীক্ষার পর ফল পজিটিভ আসে। করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে নিজের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুরে অবস্থান করছেন পপি।
আজ সোমবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে পপি বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে ঈদের সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে সালামি দেওয়া-নেওয়া। এবারের ঈদে সেটা অনেক বেশি মিস করেছি। যেহেতু আমি আইসোলেশনে, তাই কারো কাছ থেকে সালামি দিতে বা নিতে পারিনি। ঘরে বসেই সবার ঈদের আনন্দ দেখেছি। তখন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠেছে। কখনো চোখের কোণে জল, আবার কখনো খুশি। এবার জীবনের অন্য রকম ঈদ পালন করেছি।’
খুলনার খালিশপুরে পপিদের বিশাল বাড়ি। সেখানে অনেক কক্ষ রয়েছে। তাই পরিবারের বয়স্কদের কাছ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না তাঁর। পরিবারের অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখছেন তিনি।
ভক্তদের উদ্দেশে পপি বলেন, ‘আমি সচেতনভাবে চেষ্টা করছি সবাইকে সেফ রাখতে। আমার ও পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন। করোনার পাশাপাশি সারা দেশে বন্যা দেখা দিয়েছে, আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন করোনা ও বন্যা মোকাবিলা করে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।’
জ্বর ও গলাব্যথা থাকলেও শরীর অনেকটাই সুস্থতার দিকে। ৬ আগস্ট আবারও তিনি করোনা পরীক্ষা করাবেন। আশা করছেন, এবার ফল নেগেটিভ আসবে। সুস্থ হয়ে দ্রুত ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে নিজের গ্রামের আশপাশের নিম্ন আয়ের মানুষের পাশেও দাঁড়িয়েছেন পপি। সেসব খবর উঠে এসেছে গণমাধ্যমে।
মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স-আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ চলচ্চিত্র দিয়ে রুপালি পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। এ পর্যন্ত তিনি ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘কি যাদু করিলা’, ‘গঙ্গাযাত্রা’য় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত কয়েকটি চলচ্চিত্র।