২০০০ সালে ব্লকবাস্টার ছবি ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’-এর মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় সুপারস্টার হৃতিক রোশনের। তবে এর আগে বলিউডের আরেক সুপারস্টার সালমান খান তাঁকে কাছে টেনে নেন এবং দৈহিক গড়নের ব্যাপারে পরামর্শ দেন। যা হোক, এক দশক পর তাঁদের বন্ধুত্বে ভাটা পড়ে। ২০১০ সালে খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত হৃতিক অভিনীত ‘গুজারিশ’ ছবি নিয়ে মন্তব্য করেন সালমান, যা ইতিবাচক নয়। আর এর কারণেই বন্ধুত্বে ভাটা।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার কিছু দিন পর হৃতিক রোশন তাঁর ওই সময়কার স্ত্রী সুসান খানকে নিয়ে ‘কফি উইথ করণ’-এ অংশ নেন (২০১১ সালের জানুয়ারিতে এ পর্ব সম্প্রচার হয়)। এ সময় হৃতিক তাঁর অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ‘আপনি জানেন, সবাই তাকে ভালোবাসে, কিন্তু সে মনে করে সবাই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সুতরাং আমার মনে হয়, এখানে ভিকটিম সিনড্রোম আছে, যেটিকে আমি ছাড়িয়ে যাব।’

এরপর হৃতিক রোশনকে সঞ্চালক করণ জোহর প্রশ্ন করেন, যদি জেগে দেখেন সালমান হয়ে গেছেন, তাহলে কী করবেন? উত্তরে তিনি বলেন, ‘একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করতাম এবং জানিয়ে দিতাম আমি হৃতিককে কতটা ভালোবাসি।’

‘গুজারিশ’ সম্পর্কে সালমানের বিরূপ মন্তব্যের পরেই হৃতিকের সঙ্গে সালমানের বিরোধ তৈরি হয়। ‘এই ছবি নিয়ে গুঞ্জন ছিল যে এটি মশাও দেখতে যাবে না। এমনকি কুকুরও এটি দেখতে যাবে না।’ পত্রপত্রিকার খবরে জানানো হয়, বক্স অফিসে ওই ছবির খারাপ সংগ্রহের উদাহরণ টেনে একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন সালমান।

এরপর ক্ষুব্ধ হৃতিক রোশন সে সময় টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি সব সময়ই সালমানকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জেনেছি, আমি তাকে এভাবেই গণ্য করেছি, প্রশংসা করেছি; এখনো করি। সে সব সময় আমার কাছে নায়ক ছিল এবং থাকবে। কিন্তু বক্স অফিসে সংগ্রহ দেখে কোনো নির্মাতাকে নিয়ে হাসাহাসি করা নায়কোচিত নয়, এটি তার সঙ্গে মেলেও না।

‘আমার মতে একজন নায়ক কখনো কোনো কিছুকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে না। যখন আপনি অনেক বেশি সাফল্য পাবেন, তা আপনাকে আরো ক্ষমাশীল ও ভালোবাসাময় করে তুলবে,’ যোগ করেন হৃতিক।

যা হোক, সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃতিক ও সালমান উভয়েই অতীতের ঘটনা থেকে বেরিয়ে এসে ভালো সম্পর্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। মাত্র কয়েক মাস আগে, ‘ওয়্যার’ ছবির প্রচারের জন্য সালমানের উপস্থাপনায় তুমুল জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এর ত্রয়োদশ আসরে যান হৃতিক।