সব স্মৃতি পাঠিয়ে দিলাম অন্য কোনো বাবার জন্য!
অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার বাবা মীর আবদুল্লাহ। ২০১৭ সালে ১৬ জুলাই তিনি মারা যান। প্রতিটি সন্তানের মতোই বাবাকে ভালোবাসেন ফারিয়া। বাবার স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর পোশাকগুলো আলমারিতে গুছিয়ে রেখেছিলেন স্মৃতি হিসেবে। বাবার কথা মনে পড়লেই আলমারি খুলে তিনি পোশাকগুলো দেখতেন।
তবে ঈদে কষ্টে থাকা মানুষের জন্য বাবার প্রিয় পোশাকগুলো দিয়ে দিলেন অনুদান হিসেবে। শবনম ফারিয়ার ভাষায়, ‘সব স্মৃতি পাঠিয়ে দিলাম অন্য কোনো বাবার জন্য!’
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে এক পোস্টে শবনম ফারিয়া লেখেন (বানান সংশোধিত), ‘আমার বাবার কাপড় আমার কেন জানি কাউকে দিতে মন চায় না, আলমারি খুলে বাবার শার্ট-প্যান্ট দেখলে মনে হয়, বাবা হয়তো বাইরে কোথাও আছে, কাজ শেষ হলেই চলে আসবে! তিন বছর ধরে আমি নিজেকে এটাই বোঝাই... আজ সব স্মৃতি পাঠিয়ে দিলাম অন্য কোনো বাবার জন্য। কেউ যদি বাবার শার্ট পরে খুশি হয়, বাবাও নিশ্চয়ই খুশি হবেন... আর আমি ছোলা পানিতে ভেজানোর পর যেমন মোটা হয় তেমন মোটা হওয়ায় প্রচুর কস্টিউম জমে গিয়েছিল! কখনো পরা হয়নি তেমনও আছে! তাদেরও কারো খুশির কারণ হওয়ার জন্য বিদায় জানালাম... ধন্যবাদ সুইস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনকে তাদের এই উদ্যোগের জন্য...।’
এর আগে শবনম ফারিয়া ৭০ জন মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন। অবশ্য এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি। শবনম ফারিয়ার ফ্যান ক্লাবের এক সদস্য নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়েছেন।
শবনম ফারিয়া টেলি বিজ্ঞাপনে কাজের মাধ্যমে মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন। ২০১৩ সালে সম্প্রচার হয় তাঁর প্রথম নাটক ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’। তিনি মূলত নাটকে অভিনয় করে থাকেন। তবে বিজ্ঞাপনেও দেখা যায়। ২০১৮ সালে ‘দেবী’ চলচ্চিত্র দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে, এ জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে বাচসাস পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ নবীন অভিনয়শিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।