শুভ জন্মদিন নিপুণ
জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। ছোট ও বড় পর্দা সবখানেই তিনি মুগ্ধ করেছেন দর্শককে। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা। করোনাকালে তিনি দাঁড়িয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাশে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি দিয়েছেন নগদ অর্থ। আজকের এই দিনে (৯ জুন) কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন নিপুণ।
গতকাল রাত ১২টায় মা ও মেয়েকে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন নিপুণ। সারা দিনই অনেকে ফোন করছেন, কথা হচ্ছে অনলাইনে। তাঁর প্রতিষ্ঠান টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের সহকর্মীদের নিয়ে কেক কাটবেন তিনি। করোনার কারণে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই আর।
এনটিভি অনলাইনকে নিপুণ বলেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে, আমার সহকর্মীরা আমাকে উইশ করছেন। তাদের চোখে আমি কেমন, তা তাদের লেখায় উঠে আসছে। কিছু মন্তব্য দেখে চোখে পানিও চলে এসেছে। আমি আগেও বলেছি, সংকটে মানুষের পাশে থাকার এ শিক্ষা পারিবারিকভাবে পেয়েছি। আমি যত দিন বেঁচে আছি, সব সংকটে মানুষের জন্য কাজ করে যাব।’
নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে নিপুণ বলেন, ‘করোনার এই সময়ে জন্মদিন বলে কিছু নেই। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনাও ছিল না। তবে রাত ১২টায় আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছে আমার মা, মেয়ে ও ভাই। তারা আগে থেকেই কেক এনে রেখেছিল। তাদের নিয়ে কেক কেটেছি। বিকেলে আমার টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের সহকর্মীদের নিয়ে কেক কাটব। এ ছাড়া পুরো সময় নিজের বাড়িতেই কাটাচ্ছি নিজের পরিবারের সঙ্গে। ফোনে কথা বলছি, অনলাইনে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছি।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিপুণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছোট পর্দা ও বড় পর্দার শিল্পী-কলাকুশলীরা।
নিপুণ ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখেন ২০০৬ সালে। তাঁর প্রথম ছবির নাম ‘রত্নগর্ভা মা’। ছবিটি আজও মুক্তি পায়নি। তবে থেমে থাকেননি নিপুণ। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এসব ছবিতে তিনি নায়ক মান্না, রিয়াজ, ফেরদৌসৈ, আগুন, শাকিব খান, আমিন খান, রুবেল, বাপ্পারাজ, কাজী মারুফ, ইমন, নিরব ও কলকাতার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন।
২০০৬ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘সাজঘর’ ছবিতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র বিভাগে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালে মুহম্মদ হান্নানের পরিচালনায় ‘চাঁদের মতো বউ’ ছবিতে নায়ক রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র বিভাগে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।