শুটিং বন্ধ, অসচ্ছল শিল্পীদের পাশে অভিনয়শিল্পী সংঘ
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। এর সংক্রমণ রোধে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। বন্ধ হয়েছে দূরপাল্লার গণপরিবহন। এই অবস্থায় বন্ধ রয়েছে নাটক ও সিনেমার শুটিং। এ সময়টা নিজের পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন তারকারা। তবে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ শিল্পীরা।
একটি নাটক বা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অংশে আমরা অনেককেই দেখি। যাঁদের সংলাপ কম। কেন্দ্রীয় বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর পাশে তাঁদের দেখা যায় ছোট চরিত্রে। তাঁদেরকে মূলত সহশিল্পী বলা হয়। শুধু চরিত্রই নয়, তারকা শিল্পী যেখানে দিনে ত্রিশ হাজার টাকা নিচ্ছেন, একই নাটকে সহশিল্পী পাচ্ছেন তিন হাজার বা তার চেয়ে সামান্য বেশি।
সহ শিল্পীদেরা অবস্থা বলতে গেলে দিন আনে দিন খায় অবস্থা। শুটিং বন্ধ হওয়াটা তাদের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এই দুর্দিনে এসব স্বল্প আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে নাট্য অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘আসলে আমরা জানি না এই অবস্থার শেষ কবে। শুটিং বন্ধ, এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমাদের সহশিল্পী ও কলাকুশলীরা। তাঁরা বেশির ভাগই দৈনিক আয়ের মানুষ। যাঁরা তারকা শিল্পী আছে, তাঁরা হয়তো এই দুর্যোগ সামলে নিতে পারবেন। আর যাঁরা পারবেন না, আমরা তাঁদেরও সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে বাঁচতে চাই।’
নাসিম আরো বলেন, ‘আসুন, আমরা যে যাঁর জায়গা থেকে অর্থ সহায়তায় এগিয়ে আসি। আমরা একটি তালিকা তৈরি করে সবার পাশে দাঁড়াতে চাই।’
অর্থ সহায়তার জন্য অভিনয়শিল্পীসংঘ থেকে বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে শামীমা ইসলাম তুষ্টি, লুৎফর রহমান জর্জ, আনিসুর রহমান মিলন, রওনক হাসান, বন্যা মির্জা, জাকিয়া বারী মম, নাদিয়া আহমেদ ও রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে।
২২ মার্চ সকাল ৬টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১০টা পর্যন্ত ছোট পর্দার সব শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় ১৯ মার্চ। ছোট পর্দাসংশ্লিষ্ট সব শুটিং বন্ধ ঘোষণা করেছে ছোট পর্দার ১৪টি সংগঠন।