পূজায় আমি আর আমার মা একই ড্রেস পরার চেষ্টা করতাম : অপু
পূজা মানেই উৎসব, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, প্রিয়জনের সঙ্গে ঘোরাঘুরি—সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। বছর ঘুরে আবার এসেছে দুর্গাপূজা। এবারের পূজায় আপনার পছন্দের তারকারা কীভাবে সময় পার করছেন, তাঁদের পূজার রুটিন কি আপনার-আমার মতোই? তা জানার চেষ্টা করেছে এনটিভি অনলাইন।
তারকাদের পূজা নিয়ে এনটিভি অনলাইনের ধারাবাহিক আয়োজনে আজ কথা বলেছেন ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ২০০৪ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘কাল সকালে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে পদার্পণ করেন এই অভিনেত্রী।
ছোটবেলায় পূজা
অনেক গর্জিয়াস ছিল, অনেক প্লানিং ছিল এবং অনেক আনন্দ ছিল সাথে। কিন্তু এখনকার পূজাটা আসলে কী বলব ...
তারকা হওয়ার পর পূজা
তারকা হওয়ার পর পূজার মধ্যে একটা আমেজ ছিল মাঝেমধ্যে। কিন্তু পরের দিকে ব্যস্ততার কারণে পূজা আসছে কবে আর যাচ্ছে কখন, এটাই আসলে গ্যাপ হয়ে গেছে।
এবারের পূজা
এবারে আসলে পূজার কোনো আয়োজন নেই। রাইট নাও এখন সপ্তমী যাচ্ছে, আমি কয়েকদিন আগে আমার মাকে হারিয়েছি। আপনারা সবাই জানেন, উনি আমার লাইফের একটা ইমপোর্টেন্ট পারসন ছিলেন, আমার ছেলেকে ঘিরে তো আরো ইমপোর্টেন্ট ছিলেন। সে জায়গা থেকে মনে কোনো আনন্দ নেই। কিন্তু হিন্দু নিয়ম অনুসারে একবার মণ্ডপে যেতে প্রতিমার মুখ দেখতেই হয় সেজন্য হয়তো এক সময় যাব। এ ছাড়া ওই রকম আহামরি প্লানিং কিংবা ড্রেস-আপ কিছুই কেনা হয়নি।
মজার স্মৃতি
পূজায় মজার স্মৃতি হচ্ছে আমি যেদিন থেকে হিরোইন হয়েছে পূজায় আমি আর আমার মা একই রকম ড্রেপ পরার চেষ্টা করতাম। একবার মাকে মজা করে বলেছিলাম, মা আমি তো প্যান্ট, স্কার্ট পরি, একবার তোমাকে পরাব। সে-কারণে মা খুব ভয়ে ছিলেন। না জানি মেয়ে প্যান্ট, স্কার্ট পরিয়ে দেয়। এই ছোট বিষয়গুলো আমরা মা-মেয়ে খুব উপভোগ করতাম।
মায়ের জন্য দোয়া
মা হারানোর যে ব্যথা বা কষ্ট এটা যায় না, সেই বুঝতে পারে এয হারায়। আমি চাই সবাই ভালো থাকুক তাঁর মা-বাবাকে নিয়ে, সুন্দর পৃথিবী কাটাক। আর আমার মায়ের জন্য যেন সবাই মন থেকে দোয়া করে যেন তিনি অনেক বেশি ভালো থাকতে পারেন।