করোনার প্রকোপে নিম্ন আয়ের চলচ্চিত্রকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ। বিচ্ছিন্নভাবে নয়, পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনের কর্মীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাশাপাশি বিএফডিসির সব সংগঠনকে দিয়েছেন বড় অঙ্কের আর্থিক অনুদান।

শুধু তা-ই নয়, এফডিসির বাইরে তিন শতাধিক নৃত্য সহশিল্পীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন নিপুণ। মুঠোফোনে টাকাও পাঠিয়েছেন নিম্ন আয়ের শিল্পীদের। এমনকি জন্মস্থান কুমিল্লার গ্রামের মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

এবার নিপুণ দাঁড়িয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পাশে। গতকাল শনিবার নগদ অর্থ, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কিছু পোশাক উপহার দিয়েছেন শতাধিক তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে।

তবে এটা শুধু করোনার কারণেই নয়, গত পাঁচ বছর ধরে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছে তাঁর প্রতিষ্ঠান ‘টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা লিমিটেড’।

নিপুণ বলেন, ‘ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ, ইংরেজি নববর্ষ, বিভিন্ন উৎসবসহ নিয়মিত তাঁদের সহযোগিতা করে আসছি। এটা আমার প্রতিষ্ঠান টিউলিপ নেইলস অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের পক্ষ থেকে পাঁচ বছর ধরে করছি। দেশে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। গতকাল নগদ অর্থ, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও আমার কিছু পোশাক উপহার দিয়েছি শতাধিক মানুষকে। এটা ছিল ঈদ উপহার, করোনার এই সময়ে তাঁদের একাধিকবার সহযোগিতা করা হয়েছে।’

নিপুণ আরো বলেন, ‘আমার কিছু কাপড়, যা প্রায় নতুন, আমার ছোট বা বড় হয়। একটি বারও পরা হয়নি এবং কিছু কাপড় আমি দু-একবার ব্যবহার করেছি। এসব তাঁদের দিয়েছি। আমি এর আগেও একবার বলেছিলাম, আমাদের এ রকম অল্প পুরাতন জামাকাপড়, যা নতুনের মতোই, এসব কাপড় বাসায় আলমারিতে তুলে না রেখে যাদের প্রয়োজন তাদের আমরা ঈদের উপহার হিসেবে পাঠিয়ে দিতে পারি।’

নিপুণ আরো বলেন, ‘তাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন আল্লাহতালার ইচ্ছেতেই। আমরা শিক্ষিত সমাজ যদি তাঁদের স্বীকৃতি না দিই, তাঁদের পাশে যদি না দাঁড়ায়, তাহলে তাঁরা কার কাছে যাবে? আসুন, আমরা আমাদের সামর্থ্যমতো তাঁদেরও সহযোগিতা করি।’

‘রত্নগর্ভা মা’ চলচ্চিত্র দিয়ে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হলেও ছবিটি এখনো মুক্তি পায়নি। তাঁর অভিনীত ‘পিতার আসন’ প্রথম মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র। এ পর্যন্ত দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন নিপুণ।