‘গেন্দা ফুলে’ বঙ্গসংস্কৃতিকে অপমানের অভিযোগে মামলা
‘গেন্দা ফুল’ শিরোনামে একটি গান গেয়ে সম্প্রতি ব্যাপক আলোচনায় আসেন ভারতীয় র্যাপার বাদশাহ ও সংগীতশিল্পী পায়েল দেব। ব্যতিক্রমী গায়কি, ভিন্নমাত্রার উপস্থাপনার সঙ্গে বাংলা ফোক গানের কয়েকটি লাইন সংযুক্ত করায় গানটি নজর কেড়েছে সবার। সঙ্গে গানে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে বাঙালির সাজে দেখা যায়।
জনপ্রিয়তা পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গানটির। গীতিকারের নামোল্লেখ না করে চরণ যুক্ত করায় এরই মধ্যে কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে গানটির বিরুদ্ধে। এবার বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াল।
অভিযোগ, মিউজিক ভিডিও ‘গেন্দা ফুল’-এ বাঙালি নারী ও সংস্কৃতিকে অসম্মান করা হয়েছে। এই অভিযোগে বাদশাহসহ ‘গেন্দা ফুল’ অ্যালবামের প্রযোজক, পরিচালক ও খ্যাতনামা একটি মিউজিক কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আত্মদীপ’। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের বাংলা সংস্করণ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বীজপুর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে ‘আত্মদীপ’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ‘আত্মদীপ’ সভাপতি প্রসূন মৈত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “ওরা যে ‘গেন্দা ফুল’ নাম দিয়ে ভিডিও অ্যালবাম করেছে, তাতে ধুনুচি নাচ ও বাঙালি মহিলাদের খুব অশ্লীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি প্রথমে বাদশাহকে টুইটারে সতর্ক করেছিলাম। বলেছিলাম, আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব। তবে বাদশাহ এখনো ক্ষমা চাননি। তাই আমাদের পক্ষ থেকে আজ (শনিবার) থানায় এফআইআর করা হয়েছে। এর জন্য আমরা আইনি পদক্ষেপ যা নেওয়ার নেব। কারণ, গানের ভাষায় যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, তা কুরুচিকর। এ ছাড়া মিউজিক ভিডিওতে দুর্গা প্রতিমার সামনে আরতিকেও ভীষণ আপত্তিকরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।” ‘আত্মদীপ’ মূলত মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে বলে জানান প্রসূন মৈত্র।
বাদশাহ-পায়েলের ‘গেন্দা ফুল’ গানটি মুক্তি পাওয়ার পরই বিতর্কের শিরোনামে ওঠে। গানটিতে বাঙালি লোকশিল্পী রতন কাহারের ‘বড়লোকের বেটি লো’ গানের লাইন ব্যবহার করা হলেও তাঁর নাম দেওয়া হয়নি বলে সরব হন অনেকেই।
তবে ইউটিউবে ‘গেন্দা ফুল’ গানটির ভিউ চমকে ওঠার মতো। মাত্র দশ দিন পেরোতেই গানটির ভিউ হয়েছে ১১৪ মিলিয়নের বেশি।