করোনা আতঙ্ক, ঢাকায় ফিরছে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এরইমধ্যে বাংলাদেশে ৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন পাঁচজন। সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে সরকারি ছুটি। বন্ধ রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, শুটিং। প্রযোজক, হলমালিক, পরিচালক, শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিজের বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ করেছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।
তবে এত আতঙ্কের মধ্যেও শুটিং করছেন নায়িকা পরী মণি ও সিয়াম। ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ শিরোনামের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে আছেন ২৫ জন শিশুশিল্পীসহ ৭০ জনের ইউনিট। সরকারি অনুদানের এই ছবিটির পরিচালক আবু রায়হান।
গত ১৪ মার্চ সকালে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির শুটিংয়ের জন্য সুন্দরবনের উদ্দেশে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু করে ইউনিট। মোট ২৫ দিন লঞ্চে শুটিং করার কথা ছিল। তবে করোনাভাইরাসের আতঙ্কের কারণে শুটিং শেষ না করেই ঢাকায় ফিরছে শুটিং ইউনিট। এমনটিই জানিয়েছেন ছবির প্রধান সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
আজ বৃহস্পতিবার এনটিভি অনলাইনকে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা সুন্দরবন থেকে আজ ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেছি। দেশের পরিস্থিতি দেখে সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অবস্থায় শুটিং শেষ না করেই আমরা ঢাকায় ফিরছি।
আজাদ আরো বলেন, ‘এই কয়দিন আমরা শুটিং করেছি, তবে লোকালয়ে যাইনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। লোকালয়ের বাইরে শুট করেছি। বাইরের মানুষকে আমাদের শুটিংয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। আমরা সবাই নিয়ম মেনে থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা সবাই সুস্থ আছি।’
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবিটি। প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। প্রথমে চলচ্চিত্রটির নাম ছিল ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাকারিয়া সৌখিন। ছবিতে দ্বিতীয়বারের মতো জুটি বেঁধেছেন সিয়াম-পরী।
চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায়। এটি সিয়াম-পরী জুটির প্রথম কাজ। চলতি বছরের বিশেষ কোনো দিনে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে।