অসচ্ছল মানুষের পাশে নায়িকা বর্ষা
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে নাকাল জনজীবন। তার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন। এমন দুঃসময়ে হতদরিদ্র ও দিনমজুররা অসহায় হয়ে পড়েছেন। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এগিয়ে আসছেন চলচ্চিত্র তারকারাও।
প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। অসচ্ছল পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এবার এগিয়ে এলেন তাঁর সহধর্মিণী চিত্রনায়িকা বর্ষা।
গতকাল সোমবার নিজের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রায় ৫০০ পরিবারকে, দিয়েছেন নগদ অর্থও।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বর্ষা নিজে উপস্থিত থেকে তাঁর এলাকায় অসচ্ছল মানুষকে অনুদান দিয়েছেন।
তবে বর্ষা শুধু যে এ দুঃসময়ে জন্য মানুষের পাশে থাকছেন, তা নয়। জানালেন, তিনি প্রায়ই তাঁর গ্রাম ও আশপাশের এলাকার মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।
নিজের ফেসবুক পেজে বর্ষা লেখেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, আমি শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জের মেয়ে। এসেছিলাম আমি আমার গ্রামের বাড়িতে। আসলে শুধু এই করোনাভাইরাসের জন্য যে মানুষের পাশে দাঁড়াই তা না, মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে গ্রামের এবং গ্রামের আশপাশের মানুষদের সাহায্য করি; পাশে দাঁড়াই। এই উসিলায় আসলে আসা হলো, এখানে অলমোস্ট ৫০০ ফ্যামিলিকে যতটুকু আমার সামর্থ্য ছিল, আমি দিয়েছি। এখন যেটা সচরাচর দেখা যায়, মানুষকে কিছু দিতে গেলে একজনের ওপর আরেকজন পড়ে যাচ্ছে মারামারি করছে, একটা প্যাকেটের জন্য, খাবারের জন্য গণ্ডগোল করছে, কিন্তু এখানে এত সুন্দর ব্যবস্থা ছিল, এর জন্য আমার চাচা ও শাহজাদপুর থানার সব পুলিশ সদস্যের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবাই ভালো থাকবেন, আর অনুগ্রহ করে যাঁর যতটুকু সামর্থ্য, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ান, অ্যামাউন্ট ডাজ নট মেটার, এখনি সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, সবাই আমার গ্রামবাসীর জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, প্রোডাকশান ম্যানেজার, অ্যাসিসটেন্ট প্রোডাকশান ম্যানেজার, মেকআপ আর্টিস্টসহ মোট ৪৮০ পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করেছেন অনন্ত জলিল।
আফিয়া নুসরাত বর্ষা। চলচ্চিত্রে বর্ষা নামেই পরিচিত। ক্যারিয়ার শুরু করেন মডেল হিসেবে। তিনি ২০১০ সালে ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত অনন্ত জলিল প্রযোজিত ও অভিনিত ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ ছবিতে অনন্ত জলিলের সাথে জুটি হয়ে চলচ্চিত্রের অভিষেক। তিনি তাঁর ক্যারিয়ারে মোট ছয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। বর্তমানে গ্রামীণফোনের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি মুনসুন ফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি অনন্ত জলিলকে বিয়ে করেন। দুই সন্তানের জননী বর্ষা। মুক্তির অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘দিন—দ্য ডে’।