অনেকটা সুস্থ, বাসায় ফিরেছেন সুজেয় শ্যাম
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন গত মঙ্গলবার। রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে সুস্থবোধ করায় তাঁকে বাসায় পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত রাতে তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে লিজা। করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখনো ফল আসেনি।
লিজা বলেন, ‘গতকাল বুধবার থেকে বাবার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে ধারণা করা হচ্ছিল তিনি করোনায় আক্রান্ত। এই উদ্বেগ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা ভালো থাকার কারণে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত বাবাকে বাসায় থাকার পরামর্শ দেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত রাতেই আমরা বাবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসি।’
লিজা আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বাবার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এরপর বাবাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করি। যেহেতু শ্বাসকষ্ট করোনার উপসর্গ, তাই ভয় পেয়েছিলাম। তবে মনে হচ্ছে তেমন কিছু নয়।’
সুজেয় শ্যাম বিখ্যাত সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গুণী সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠযোদ্ধা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি তিনবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
সুজেয় শ্যাম ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ-ভারতের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে সংগীত পরিচালক রাজা হোসেনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং একত্রে রাজা-শ্যাম নামে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত তাঁর সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’, ‘আজ রণ সাজে বাজিয়ে বিষাণ’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘ওরে আয় রে তোরা শোন’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘রক্ত চাই, রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার’ উল্লেখযোগ্য।