যা বলা হয় বুয়েট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শপথবাক্যে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্যসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শপথবাক্য পাঠ করেছেন। এই শপথের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা বুয়েটছাত্র আববার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় চলমান মাঠের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বুয়েটের অডিটরিয়ামে শপথবাক্য পাঠ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শপথবাক্য পাঠ করান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা।
শপথবাক্য পাঠ করার সময় অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদের ডিন, প্রত্যেক হলের প্রভোস্ট ও সাধারণ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শপথবাক্য পাঠ করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ছাত্র কল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) ড. মো. আব্দুল বাসিথ ও সাতটি হলের প্রভোস্ট।
আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রাফিয়া রিজওয়ানার পাঠ করানো শপথ বাক্যে বলা হয়, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি যে, আজ এই মুহূর্ত থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যায়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্বে আমার ওপর অর্পিত, ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক, নৈতিক এবং মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করব।’
শপথবাক্যে আরো বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় প্রত্যেক অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব। আমি আরো প্রতিজ্ঞা করছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব। নৈতিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সমূলে উৎপাটিত করব। এই আঙিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধী যেন অত্যাচারিত না হয়, তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব।’