ছাত্রলীগ সভাপতিকে ক্যাম্পাস ছাড়া করল বিদ্রোহীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে গিয়ে বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা সভাপতিকে বের করে দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে।
দলীয় সূত্রে, শনিবার সকালে ক্যাম্পাসে আসেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ। দলীয় কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন তিনি। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবাসিক হল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে টেন্টের দিকে আসে। টেন্টে থাকা সভাপতি ও তাঁর কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন বিপুল, অনিক, যুবায়ের, সোহাগ ও রাব্বিসহ বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছু দিন আগে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের ক্যাম্পাসের গাড়ি চালক নিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য ও আঞ্চলিক নেতা বানানোর অডিও ফাঁস হয়। অডিওতে ছাত্রলীগ সম্পাদক ৪০ লাখ টাকায় নেতা হয়েছে বলে কথা বলেন অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে। এ ছাড়াও তাঁর কথায় কেন্দ্রীয় সংসদ আঞ্চলিক কমিটি ঘোষণা করবে বলে অডিও থেকে জানা যায়। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে পদবঞ্চিত বিদ্রোহী পক্ষের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। একই সঙ্গে রাকিবকে দলীয়ভাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করে। পরে ২০ ও ২৩ অক্টোবর রাকিব ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বিদ্রোহীরা ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয়। পরে বিদ্রোহীদের ধাওয়ায় ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হন সাধারণ সম্পাদক রাকিব।
কিন্তু ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে কোনো দুনীতির অভিযোগ উঠেনি। তারপরও কেন তাঁকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বিদ্রোহী পক্ষের নেতা মিজানুর রহমান লালন বলেন, ‘আমরা সভাপতিকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেইনি। পক্ষের কর্মীরা এ কাজ করেছে। তাদের কথা, যেহেতু সাধারণ সম্পাদক দুর্নীতি করে কমিটির পদে এসেছে। এতো দিনে বিদ্রোহীদের আন্দোলনের পরও সভাপতি নিশ্চুপ ছিলেন। তার মানে সাধারণ সম্পাদককে সহযোগিতা করেছেন সভাপতি। সুতরাং তিনি রাকিবের দুর্নীতির দায় এড়াতে পারেন না।’
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। কেন্দ্র যা বলবে তাই করব।’
বিদ্রোহী পক্ষের নেতা বিপুল খান বলেন, আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা এ কাজটি করেছি। টাকার বিনিময়ে যেহেতু রাকিব কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে এসেছে। তার মানে সভাপতি টাকা দিয়ে পদে আসেননি এমনটা নয়। তিনি যদি দুর্নীতি না করে পদে আসেন তবে কেন রাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও চুপ ছিলেন?