আজও উত্তাল বুয়েট, বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসবেন ভিসি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবারও উত্তাল ক্যাম্পাস। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি পূরণে আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে পঞ্চম দিনের মতো মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
বেলা ১১টার দিকে বুয়েট শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমাবেশ থেকে জানানো হয়, বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম আবরার হত্যাকাণ্ড ও ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসবেন। তাঁরা আরো দাবি করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এই বৈঠকে থাকবেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সে সময় একজন বলেন, ‘আন্দোলনের পঞ্চম দিনে এসেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলতে চাই, আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখিনি। প্রথমে ভিসি স্যার প্রেস ছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা স্যারকে জানিয়েছি, এই আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কোনো প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাই সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা, মানে ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ ব্যাচের সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। কথা হবে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্মে, সেখানে মিডিয়ার উপস্থিতি অবশ্যই থাকবে। এবং মিডিয়াই হবে আমাদের সাক্ষী।’
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রত্যেক গণমাধ্যম থেকে দুজন করে প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুর ২টার আগে ভিসি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা না বললে বুয়েটের সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝোলানো হবে। তারই ফলে আজ উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, যেহেতু ভিসি স্যার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিকেল ৫টার দিকে বসতে চেয়েছেন, সেহেতু বুয়েটের সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝোলানোর আলটিমেটাম বৈঠক শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দফায় দফায় উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে কিছু শর্তে তিনি বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন। বৈঠক চলাকালীন কোনো গণমাধ্যম লাইভ টেলিকাস্ট করতে পারবে না বলেও জানিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
আজও শিক্ষার্থীরা আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। আজ শুক্রবার পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তাঁরা শহীদ মিনারে পাশে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করেন।