‘আবরার কাতরাইতাছে, জিয়ন বললো ওরে ফেলে রাখ’
পেটাতে পেটাতে আবরার ফাহাদ রাব্বী যখন মৃতপ্রায়, তখনোও তাঁর প্রতি নিষ্ঠুরতা কমেনি ছাত্রলীগ নেতাদের। নিষ্ঠুরতা না কমার বর্ণনা উঠে এসেছে বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর কান্নাভেজা কথাতে।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শহীদ মিনারের পাশে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবরারকে করা নির্যাতনের বর্ণনা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন।
বক্তব্যের একপর্যায়ে মহিউদ্দিন কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠেন, ‘আমার আছে অনুতাপবোধ। (রোববার দিবাগত রাত) তখন আড়াইটা বাজে। আমি খাইতে বের হইছি। আমি ওরে (আবরার ফাহাদ) দেখছিলাম ফ্লোরের ওপরে। ও কাতরাইতাছে। আমি চিন্তা করতে পারি না হলে এমন ঘটনা হয়েছে। আমি আমার রুমমেটকে বলতেছি মনে হয় মৃগী হইছে। ওরে হাসপাতালে নিতে হবে। জিয়ন (আবরার হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন) ওইখানে বসে বলতেছে, ‘ও নাটক করতেছে, ওরে ওইখানে ফেলে রাখ।’ নিষ্ঠুরতারও লেভেল আছে রে ভাই।’
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৭ নম্বর আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (গোলচিহ্নিত) ৭ অক্টোবর বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তারের পর। ছবি : এনটিভি
মহিউদ্দিন মাইকে এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জোরে জোরে কেঁদে উঠেন। মহিউদ্দিনও কাঁদতে থাকেন।
মহিউদ্দিন আরো বলেন, ‘আমি তিনরাত ঘুমাইতে পারি নাই। আমি ওরে (আবরার) ভার্সিটিতেও দেখছি। আমি ওরে বাঁচাইতে পারি নাই। আমারে মাফ করে দিস ভাই। আমি তোরে রাইখা খাইতে চলে আসছি ওই অবস্থায়। আমারে মাফ করে দিস তুই। আমি পরে হলে ফিরে তখনো দেখি ওই অবস্থায়..।’