রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে না জানিয়ে হলে ওঠায় শিক্ষার্থীকে মারধর
ছাত্রলীগ নেতাকে না জানিয়ে হলে ওঠায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজেদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হল শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মো. তারেক, ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিন ও হৃদয় সাহা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজেদুল করিম অভিযোগ করে জানান, তিনি আমীর আলী হলের ৩২৯ নম্বর রুমে তাঁর বন্ধু আলী মুরশেদ সজীবের সঙ্গে থাকছেন। হল প্রাধ্যক্ষকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেস থেকে হলে আসবাপত্র নিয়ে এলে ছাত্রলীগ নেতা তারেক জানতে পারেন। তারেক সাজেদুলের কাছে কার মাধ্যমে হলে উঠেছে জানতে চান এবং রাতে তাঁর রুমে এসে দেখা করতে বলেন। কিন্তু সাজেদুল তাঁর রুমে না যাওয়ায় শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিনের মাধ্যমে ডেকে পাঠান। সাজেদুল তারেকের রুমে যাওয়ার পর কেন হলে উঠেছে জিজ্ঞাসা করেই তাঁকে মারধর করতে থাকেন।
সাজেদুল করিম বলেন, ‘আমার মোবাইলের রেকর্ডিং চালু ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। আমার ফোনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেন।’
তাঁকে জোর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন সাজেদুল।
ফোন রেকর্ডিং আগে থেকেই চালুর করার কারণ জানতে চাইলে সাজেদুল বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল আমাকে ডেকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবি করবে। তাই আমি ফোন রেকডিং চালু করে রেখেছিলাম।’
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে হাসান মো. তারেক বলেন, ‘সাজেদুল এই হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি হল প্রভোস্টকে না জানিয়ে থাকছেন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁকে ডেকে নিয়ে জানতে চেয়েছি কার মাধ্যমে হলে উঠেছে। এ সময় সাজেদুলের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁর ফোনটি দিতে বলি। ফোন দিলে দেখি মোবাইল ফোনের রেকডিং চালু। তাঁকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাজেদুলকে হলে সিট দিতে তাঁর বিভাগে একজন শিক্ষক আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। এর পর সাজেদুল আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমি তাঁকে লিখিত আবেদন করতে বলেছি। সিট খালি হলে তাঁকে ব্যবস্থা করে দেব বলেছি। ছেলেটি আমার কাছে আর আসেনি এবং কোনো আবেদন করেনি।’